স্থানীয় সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার রাতে সোহাইশেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে বেরিয়েছিল তৃণমূল নেতাকর্মীদের একটি দল৷ দলের পুরভাগে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি মফিদুল হক সাহজির ভাই রিঙ্কু শাহজি৷ রিঙ্কু এলাকার বিদায়ী উপ প্রধানও৷ রিঙ্কুর নেতৃত্বেই এলাকার১০-১৫ জন তৃণমূলকর্মী প্রচার চালাচ্ছিল৷
অভিযোগ, রাত ১১টা নাগাদ সেই দল পৌঁছয় গাঙ্গাটি এলাকায়৷ সেই সময়ই নাকি তৃণমূলের সেই প্রচার মিছিল ঘিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: গেলেন না ইডি দফতরে হাজিরা দিতে! হুডখোলা গাড়িতে জমাটি প্রচার সায়নী ঘোষের
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি বোমা সরাসরি কাঁধে এসে পড়ে বছর সতেরোর ইমরান খানের৷ সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু৷
জানা গিয়েছে, বোমার স্পলিন্টারের আঘাতে আহত হন আরও ২-৩ জন৷ ঘটনার কথা চাউড় হতেই এলাকায় অশান্তি ছড়ায়৷ আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু সিপিআইএম এবং আইএসএফ কর্মীদের বাড়িতে৷ তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকার সিপিআইএম, আইএসএফ ও নির্দল প্রার্থীই একযোগে এই হামলা চালিয়েছে৷
মফিদুলের বক্তব্য, ‘‘আমার ভাইকে টার্গেট করা হয়েছিল৷ ভাইকেই মারার জন্যই এটা ঘটেছে৷ কিন্তু, আমাদের কর্মীর ছেলের মৃত্যু হল৷ আমরা পুলিশকে সময় বেঁধে দিয়েছি৷ অবিলম্বে এর বিচার চাই৷ ’’
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নামই যাবে বদলে, মিলবে চার গুণ টাকা! প্রতিশ্রুতি ঘিরে চরম শোরগোল
যদিও গোটা ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এলাকার সিপিআইএম নেতৃত্ব৷ ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ৷
এদিন দেগঙ্গায় নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন রাজ্যপাল। সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন। প্রয়োজনে দেগঙ্গা যাবেন বলেও নিহতের পরিবারকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।