চাহিদা একটাই, নেমে আসুক মুষলধারে বৃষ্টি। এখন এই বিয়ে কাঙ্ক্ষিত বর্ষা এনে দিতে পারে কিনা সেটাই দেখার। কারণ, বৃষ্টির অভাবে ধান রোয়ার কাজ একরকম বন্ধের মুখে। যেটুকু ধান রোয়া হয়েছে সেই সব জমিতেও জল নেই।
আরও পড়ুন : শারীরিক ঘনিষ্ঠতার আগে 'এই' একটি প্রশ্ন অবশ্যই করুন! নইলে সম্পর্ক ভেঙে চুরমার হবে নিমেষে!
advertisement
কিছু সম্পন্ন কৃষক সাবমারসিবল পাম্পের মাধ্যমে মাটির তলা থেকে জল তুলে চাষ বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ভারি বৃষ্টি না হলে খরা পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের। তাই বৃষ্টির আশায় এই ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হলো।
বৃষ্টির কামনায় পূর্ব বর্ধমানের গলসি এক নম্বর ব্লকের মারো গ্রামে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করলেন সেখানের বাসিন্দারা। গ্রামের দাসপাড়ায় তৈরি করা হয়েছিল ছাদনাতলা। সেখানে বাজনা বাজিয়ে নিয়ে আসা হয় বর ব্যাঙকে। ততক্ষণে সেখানে উপস্থিত করা হয় কনে ব্যাঙকেও। হিন্দু প্রথা মেনে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে মালাবদল করে বিয়ে দেওয়া হয় ব্যাঙের।
এই বিয়েতে বরযাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০ জন। তাদের খিচুড়ি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিল কনে পক্ষ। গ্রামবাসীরা জানালেন, "ব্যাঙের বিয়ে দিলে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি মেলে এমনটা পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শুনে এসেছি। তাঁরা বলতেন দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হলে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হতো। তারপরই আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টি হত। আমরাও তাই ব্যাঙের বিয়ে দিলাম। অধরা বৃষ্টি এবার মেলে কিনা দেখা যাক।"
আরও পড়ুন : কিছুক্ষণেই কলকাতা-সহ রাজ্যের ১০ জেলায় ঝড়জলের পূর্বাভাস! আবহাওয়ার বিরাট আপডেট!
গলসিকে রাজ্যের শস্য গোলা বলা হয়ে থাকে। প্রচুর ধান উৎপন্ন হয় এখানে। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় ধান রোয়ার কাজ এক রকম বন্ধ। ডিভিসিও সেচের জন্য চাহিদা মত জল দিতে পারেনি। এখন চাষ বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন ভারী বর্ষণের। সেই বর্ষণের আশাতেই এই ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।