আগামী ১-২ ঘণ্টার মধ্যেই জেলায় জেলায় বৃষ্টি রাজ্যে। আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ আপডেট বলছে আর কিছুক্ষণেই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং নদীয়া জেলার কিছু অংশে বজ্রবিদ্যুৎ এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। বজ্রপাতের সময় লোকজনকে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে (West Bengal Weather Alert)।
আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ পয়েন্ট তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬১ থেকে ৮৯ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় শহরে বৃষ্টি হয়নি।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আগামী ৪/৫ দিনে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমের দিকের জেলা বাঁকুড়া পুরুলিয়া পশ্চিম বর্ধমান পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম ও বীরভূমে দু এক পশলা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা।
জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি দক্ষিণবঙ্গে ৪৭ শতাংশ। জুন মাসে মৌসুমী বায়ু দেরিতে ঢুকেছিল দক্ষিণবঙ্গে। দুর্বল মৌসুমী বায়ু থাকার কারণে বৃষ্টির ঘাটতি শুরু হয় জুন মাসের শুরু থেকেই। সেই ঘাটতি পূরণ তো হয়নি বরং ক্রমশ বেড়েছে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী ৪/৫ দিনেও এই বৃষ্টির ঘাটতি পূরণ হবার নয়। অর্থাৎ ধান চাষ রোপনে বিশেষ করে এমন ধানের চারা রোপণের ক্ষেত্রে এবং পাটের পচানোর ক্ষেত্রে চাষীদের সংকট এখনই মিটছে না। তবে উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিক বৃষ্টি রয়েছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। উত্তরবঙ্গ এবং সিকিম মিলিয়ে আপাতত ৪ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টি রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামীকাল বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়।
মৌসুমী অক্ষরেখা অমৃতসর কারনাল বরেলী বাহারিখ হয়ে হিমালয়ের সংলগ্ন পাদদেশে অবস্থান করছে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা থাকছে। দক্ষিণ ভারতের ক্ষেত্রে একটি শিয়ার জোন যেমন থাকছে তেমনি উত্তর দক্ষিণ অক্ষরেখা ছত্রিশগড় থেকে কোমোরিন পর্যন্ত গেছে। এই অক্ষরেখা তেলেঙ্গানা ও রায়েলসীমার উপর দিয়ে গেছে। এছাড়াও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে তামিলনাড়ু উপকূলে।
দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে তেলেঙ্গানা আর রায়েলসীমা লাক্ষাদ্বীপে। এছাড়াও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল ইয়ানাম তামিলনাড়ু পন্ডিচেরি ও কড়াইকাল এলাকায়। কেরল এবং মাহেতেও আগামী কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তর পশ্চিম ভারতের ক্ষেত্রে।