বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার বারোমাস্যা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মান্না। একজন প্রাক্তন রাজ্য সরকারের কর্মী। সম্প্রতি নজরে আসে বিশ্বনাথ মান্নার বিপুল সম্পত্তির একটা বড় অংশ রেকর্ড হয়ে গিয়েছে এক নিকটস্থ নামে। পরে সেই জমিও হস্তান্তর হয়ে যায় স্থানীয় তৃনমূল নেতার নামে এমন অভিযোগ সামনে উঠে আসছে। এই বিষয়ে জানতে এসে চক্ষু চড়কগাছ বিশ্বনাথের পরিবারের। তাঁর এক আত্মীয়া বিশ্বনাথ মান্নাকে মৃত সাজিয়ে জাল শংসাপত্র তৈরি করে নিজেকে একমাত্র উত্তরাধিকারী স্থাপন করে রাতারাতি বিশ্বনাথ মান্নার সম্পত্তির একটা বড় অংশ নিজের নামে রেকর্ড করে নেয় বলে অভিযোগ।
advertisement
পরে ওই আত্মীয়ার কাছ থেকে বিশ্বনাথ মান্নার প্রতিবেশি হিসেবে পরিচিত গ্রামের এক তৃনমূল নেতা ওই সম্পত্তি নিজের নামে করে নেয়। এই ঘটনার পর থেকে সম্পত্তি ফিরে পেতে ও জাল কারবারকারী বেআইনীভাবে সম্মত্তি হাতিয়ে নেওয়া ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিশ্বনাথ মান্না ও তার পরিবার (West Bengal News)।
ওয়ারিশ সার্টিফিকেটে বিশ্বনাথ মান্নাকে মৃত সাজিয়ে নিজেকে একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবি করেন নমিতা পাল নামে এক আত্মীয়া। এই বিষয়ে নমিতা পালের দাবি তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তালডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জানানো হয়েছে যে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নিয়ে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যের সই জাল করে বানানো হয়েছে। তবে কে এই জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের কাজ করেছে তা তারা জানেন না।
আরও পড়ুন :অবিশ্বাস্য! পৃথিবী থেকে বুলেট ট্রেনে চড়ে সোজা চাঁদে! জেনে নিন কীভাবে
পঞ্চায়েত প্রধানের সই সিল ও স্থানীয় সদস্যের সই দেখে ধরে নেওয়া হয় ওই ওয়ারিশ সার্টিফিকেট ঠিক ছিল। পরে নজরে আসার পর তিনজনের কমিটিতে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তালডাংরা ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতর।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিজয় মান্না প্রভাব খাটিয়ে এই বেআইনী কারবারের যে অভিযোগ সামনে এনেছে এই প্রসঙ্গে তালডাংরা ব্লক তৃণমূল সভাপতি বলেন, এর সঙ্গে বিজয় মান্নার কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনার খবর পাওয়ার পর তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে যাচাই করা হয়। এরপরে যদিও কোন যোগ থাকে তাহলে দলের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনা সামনে আসতেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাঁদের কটাক্ষ, "জাল কারবারে ছেয়ে গিয়েছে রাজ্য। অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের নেতা আমলাদের বিরুদ্ধে। এটা নিয়ে উচ্চ পর্য্যায়ের তদন্তের প্রয়োজন বলে দাবি করছে বিজেপি।"
প্রিয়ব্রত গোস্বামী, বাঁকুড়া