জানেন, কোথায় রয়েছে বাংলার সীমানা?
দুই রাজ্যের সংযোগস্থলে প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং ভাষা কেমন? কীভাবে দিন কাটে সাধারণ মানুষের? আদৌ কি তারা ঠিকমত পরিষেবা পান দুই রাজ্য থেকে? জানা গিয়েছে, দক্ষিণের দিকে বাংলার শেষ সীমানা পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন। দাঁতন এবং মোহনপুর ব্লকের একাধিক গ্রাম সীমান্ত লাগোয়া। গ্রামের শেষ সীমানা থেকে শুরু হচ্ছে ওড়িশা রাজ্য। স্বাভাবিকভাবে, একাধিক সাধারণ মানুষের একদিকে বাসস্থান এবং অন্য রাজ্যে চাষবাসের জমি রয়েছে। প্রতিদিন নিজেদের স্বাভাবিক ছন্দে জীবন যাপন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান তিক্ত সম্পর্কের ফায়দা তুলতে চাইছে বাংলাদেশ! ইসলামাবাদকে বিশেষ বার্তা ঢাকার
চাষের জন্য যেতে হয় ওড়িশা, ফিরে আসতে হয় নিজের বাড়ি বাংলায়। স্বাভাবিকভাবে যেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ দুই রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের শেষ সীমানা দাঁতন থানার সোনাকোনিয়া। সোনাকোনিয়ার মূল রাজ্য সড়ক শেষ হচ্ছে ওড়িশা রাজ্যের কাছে। তবে, বডার লাগোয়া এলাকার মানুষজনের প্রতিদিনের যাতায়াত ওড়িশাতেও। কখনও ব্যবসা বাণিজ্যের কারণে, কখনও আবার চাষবাস করতে যেতে হচ্ছে অন্য রাজ্যে।
অন্য রাজ্যের নিজেদের চাষযোগ্য জমি থাকার কারণে ট্যাক্সও গুনতে হয় পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশাকে। স্বাভাবিকভাবে, প্রতিবছর দুটো রাজ্যেই তাদের খাজনা মেটাতে হয়। তবে, বছরের পর বছর বংশ পরম্পরায় দুই রাজ্যের মেলবন্ধনে বসবাস সীমান্ত এলাকার মানুষজনের। যা স্বাভাবিকভাবে অত্যন্ত আশ্চর্যের। আন্তঃরাজ্য সীমান্ত এলাকার মানুষজনের কাছে দুই রাজ্যের ভাষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে।