অত্যাচারের গোটা ঘটনার ভিডিও দুষ্কৃতীরা মোবাইলে বন্দি করে। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির জেটিয়া থানার রবীন্দ্রনগরের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্দীপ ঘোষ নামে ওই যুবককে তাঁরই কয়েকজন বন্ধু ডেকে নিয়ে গিয়ে একটি পানশালায় প্রথমে মদ্যপান করায়। তার পর একটি আমবাগানে নিয়ে গিয়ে রাতভর মারধর ও অত্যাচার করে। অভিযোগ, সন্দীপের বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিক এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। জেটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে।
advertisement
কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা দায়ের করায় দু’জনই আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়। স্বভাবতই এরপর জেটিয়া থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আক্রান্ত সন্দীপের দাবি, তাঁর সঙ্গে স্থানীয় একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার হুমকি দিয়ে একদল যুবক তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে গালিগালাজ করে। সন্দীপের দাবি, এর পরে কিছুটা মিটমাট হলেও, কল্যাণী কাটাগঞ্জের বাসিন্দা জিৎ সরকার এবং তার পড়শি পাল্লাদহের শুভ্রনীল কিস্কু বলে দুই যুবক ফোন করে ডাকে তাঁকে। একটি বারে নিয়ে গিয়ে মদ্যপান করানোর পর তাঁকে এলাকারই একটি আমবাগানে নিয়ে গিয়ে অকথ্য অত্যাচার করা হয়। নৃশংস ভাবে মারধরের পাশাপাশি মুখে ও গায়ে প্রস্রাব করে ওই দুই অভিযুক্ত।
এমনকী ভিডিও করে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেয় তাঁরা। প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে অমানবিক অত্যাচার। ভিডিয়োতে সন্দীপ হাত জোড় করে বারবার ক্ষমা চাইলেও শোনেনি অভিযুক্তরা৷ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সন্দীপের প্রেমিকার প্রাক্তন প্রেমিক জিৎ। সন্দীপের মা বলেন, রাত তিনটে নাগাদ ছেলে কোনও রকমে ফোন করে। তার পরে স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে ওই আমবাগান থেকে সন্দীপকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। সন্দীপের কপালে দু’টি সেলাই পড়েছে। জেটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফে। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলছেন ওই যুবকের পরিবার। অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যাওয়ায়, রীতিমতো আতঙ্কিত। যদিও স্থানীয় বিধায়ক থেকে পুলিশ প্রশাসন পাশে থেকে তদন্তের আশা দিয়েছেন।






