বুধবার রাতে অভিযুক্ত ওই ভাগ্নের ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মামাকে। ঘরের সামনের রান্না ঘরের মধ্যেই দেখা যায় মাটি খুঁড়ে গর্ত করে রাখা হয়েছে। বুধবার রাতেই গাংনাপুর থেকে ভাগ্নেকে গ্রেফতার করে রানাঘাট থানার পুলিশ। ধৃত ভাগ্নের নাম বিপুল মণ্ডল (৩৫)। মৃত মামার নাম মন্টু শিকদার (৫৫)।
আরও পড়ুন: 'মনে কষ্ট নিয়ে ঘরে বসে আছেন', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! কোন প্রসঙ্গে বললেন এমন কথা?
advertisement
ভাগ্নে বিপুল মণ্ডলের সঙ্গে মামা মন্টু শিকদার থাকত বলে জানা গিয়েছে।
মৃত মন্টু শিকদারের স্ত্রীর মৃত্যুর পরে ভাগ্নের সঙ্গে থাকতেন তিনি।
অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে মামাকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। এর পরেই আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। গতকালই খোঁজখবর শুরু করে আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। তখনই ভাগ্নের কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। অবস্থা বেগতিক বুঝে ভাগ্নে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে বন্ধ ঘর থেকে মামাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে কুপার্স ফাঁড়ির পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে। সেখানেই মামাকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বড় ঘোষণা চিকিৎসক দেবী শেঠির! সুফল পাবেন অগণিত মানুষ
স্থানীয় ও আত্মীয়দের দাবি, মামাকে কবর দিয়ে দেহ লোপাট করতেই মাটি খুঁড়ে গর্ত করা হয়েছিল। ভাগ্নের বিরুদ্ধে আত্মীয়দের প্রাথমিক অভিযোগ, মামার সম্পত্তি ও টাকা হাতানোর উদ্দেশ্যেই এই পরিকল্পনা করেছিল ভাগ্নে। অভিযুক্ত ভাগ্নের নাবালিকা মেয়ের অভিযোগ, কিছুদিন আগে দুজন লোক এসে দাদুকে মিষ্টি খাওয়ায়। তারপর থেকেই দাদু অসুস্থ। দাদুকে খেতে দিত না। বাবা রান্নাঘরে মাটি খুঁড়ে গর্ত করেছে।
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।