কালনায় বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব এই সরস্বতী পুজো। গত দুবছর তাতে বাধ সেধেছিল করোনা। এবার তাই উৎসাহ, জাকজমক অনেক বেশি। থিমের ছড়াছড়ি বেশিরভাগ মণ্ডপে। জাপট এলাকার অগ্নিবীণা ক্লাবের এবারের পুজোর থিম এক টুকরো পুরুলিয়া। তাদের মণ্ডপ সাজিয়ে তুলছে খড়, পাটকাঠি, কাপড়, তেঁতুলেরছাল, তালপাতা, পালক-সহ নানা উপকরণে।
advertisement
১১০ ফুট লম্বা এবং ৪০ ফুট চওড়া এই মণ্ডপের থিম। গোটা মণ্ডপ জুড়ে পুরুলিয়ার পাহাড়, ছৌ নৃত্য-সহ নানা সংস্কৃতি তুলে ধরছেন শিল্পীরা। যোগীপাড়া পুরাতন সঙ্ঘের প্রতিমা তৈরি হচ্ছে খড় ও দড়ি দিয়ে। ৮ ফুটের এই প্রতিমা পরিবেশবান্ধব। দর্শকেরা মণ্ডপে নতুনত্বের স্বাদ পাবেন বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
জিউধারা বারোয়ারি সমিতির মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে সংবাদপত্র দিয়ে। এই কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে দেড় কুইন্টালের বেশি সংবাদপত্র। সংবাদপত্রের মন্ড দিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু মডেল। সেগুলি ঠাঁই পেয়েছে মণ্ডপের ভিতরে। সংবাদপত্রের জায়গা নিচ্ছে মোবাইল,সংবাদপত্র বিক্রেতাদের জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে সংবাদপত্র কেন্দ্রিক নারায়ন বিষয়ে থিম এর মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। এ সংবাদপত্রের টুকরো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রংবেরঙের নৌকা ও ঝাড়বাতি।
এ ছাড়া, শহরের সপ্তর্ষি সঙ্ঘ ‘টুইন টাওয়ার’, সমন্বয় লালকেল্লা, রুপালিকা বরফের দেশে, বারুই পাড়া বারোয়ারি ডোকরা শিল্প, তালবোনা প্রান্তিক ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, তরুণ সমিতি সুন্দরবন, আমলাপুকুর ইয়ং বয়েজ ‘প্রকৃতি রতনে সাজাব যতনে', যুব সঙ্ঘ ‘ভাবনা, শ্যামগঞ্জপাড়া বারোয়ারি ‘সহজ পাঠ' থিমে মণ্ডপ তৈরি করছে। সব মিলিয়ে একে অপরকে থিম ভাবনায় মণ্ডপ আলোকসজ্জায় ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সব ক্লাব।