খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জগদ্দল থানার পুলিশ। বোমা উদ্ধারের ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছাতেই এলাকাটিকে মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার বলয়ে। এমতাবস্থায় খবর পাঠানো হয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। পরে বোম স্কোয়াডের টিম ঘটনাস্থলে এসে বোমাগুলি পরীক্ষা করে দেখলে জানা যায় বোমা গুলি তখনও সক্রিয় ও বিপজ্জনক। এরপরই বোমাগুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই ওই সক্রিয় বোমাগুলিকেকে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
advertisement
এদিকে, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনও দুষ্কৃতী দলই ওই ফাঁকা মিল চত্বরকেই বোমা মজুদের গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। যদিও এতদিন ধরে কীভাবে সেগুলি সেখানে ছিল বা কে রেখেছে? তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে জগদ্দল থানার পুলিশের তরফে। ইতিমধ্যেই ঘটনার খবর চাউর হতেই জুট মিল চত্বরের এলাকার মানুষ রীতিমতো আতঙ্কে।
এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, জুটমিল চত্বরের এলাকাবাসীরা কি তবে প্রাণ হাতে করে জীবন যাপন করছে? পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি জুট মিল এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে জগদ্দল ভাটপাড়া এলাকায় বোমা খুনোখুনি কোনও নতুন ঘটনা নয়। তা বলে কি দিনের পর দিন চলতে থাকবে এমন ঝুঁকির জীবন যাপন? এমন বোমা খুঁজে পাওয়ার ঘটনায় আবারও প্রশ্নচিহ্নের মুখে প্রশাসন। এই তীব্র ঔদ্ধত্যের সমাধান কি করবে প্রশাসন? জগদ্দল-ভাটপাড়াবাসীর চোখ এখন সেই দিকেই।
—- শুভজিৎ সরকার