একাধিক বিক্ষপ্ত ঘটনার মধ্যে দিয়েই শেষ হল ধুলিয়ানের পুর নির্বাচন। কোথাও বুথ দখল, কোথাও ছাপ্পা ভোট কোথাও বিধায়ককে মারধর, তো কোথাও আবার পুলিশ প্রশাসনের উপরেই চলল ইটবৃষ্টি হামলা। ধুলিয়ান পুরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের ৫১নং বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠে। তৃণমূলের অভিযোগ নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে, অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ নির্দলের৷ এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়, পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
advertisement
পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয়। ইটবৃষ্টি। আর এই ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন একাধিক পুলিশ কর্মী। ভেঙে ফেলা হয় পুলিশ গাড়ির কাচ। ঘটনাস্থলে আসেন ফরাক্কার এস ডি পি ও আসিম খান। তাকে লক্ষ্য করেও হামলা করা হয়। আহত হন এস ডি পি ও। তারপরেই শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাদানে গ্যাস ও শুন্যে ৩ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ।
অন্যদিকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ১৩ নং ওয়ার্ড। বুথ দখলকে কেন্দ্র করে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে গুরুতর আহত হন এক পুলিশ কর্মী। চোখে আঘাত পান তিনি, প্রথমে অনুপনগর হাসপাতাল ও পরে জঙ্গীপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সব রাস্তায় মুছে ফেলা হচ্ছে চিহ্ন, সাইনবোর্ড! কারণ জানলে চমকে উঠবেন
১৩নং ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তজনা ছড়ায় এলাকায়। ১৮নং ওয়ার্ডে কংগ্রেস কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৪নং ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী ও তৃণমূলের এজেন্টদএর মধ্যে তর্ক বিতর্ক ও হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম এলে তার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। অসুস্থবোধ করায় তাকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।