বীরভূমের দুবরাজপুর পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ড। যার মধ্যে ৫টি ওয়ার্ডে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল। ভোট হচ্ছে বাকি ১১ আসনে। ম্যাজিক ফিগার ৯। এই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে দুবরাজপুর পুরসভা দখল করতে তৃণমূলের দরকার আর ৪ আসন। এ দিকে দুবরাজপুরের যে ১১ ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে দুবরাজপুরের ইসলামপুর এলাকা, যার মধ্যে ৭, ১০ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড গুলি সংখ্যালঘু ওয়ার্ড বলে পরিচিত। তাই খুব বেশী লড়াইয়ে না গিয়েও সংখ্যালঘু ভোটারদের জন্য এমনিতেই দুবরাজপুর পুরসভা দখল করবে তৃণমূল, এমনটাই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
advertisement
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে ঘুরলেন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, 'কাঁচা বাদাম' গেয়ে ঝড় তুললেন ভুবন বাদ্যকর
তথ্য বলছে দুবরাজপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোটার ৭৫%, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ১০০% সংখ্যালঘু ভোটার, আর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৫% ভোটার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এ দিকে এখনকার প্রধান বিরোধী দলই ভোটের লড়াইয়ে মাঠে নেই দুবরাজপুরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে। কারণ হিসাবে বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে ওই সমস্ত ওয়ার্ডগুলিতে তাদের সংগঠন নেই। তাই প্রার্থী দেওয়া হয়নি। আবার মনোনয়ন জমাদিয়েও দুবরাজপুরের ১, ৫, ১৪ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে বিজেপি।
তবে যে কটি ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে সেখানে অবশ্য তৃণমূলের প্রতিপক্ষ হিসাবে রয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম। তাদের দাবি ওই সমস্ত ওয়ার্ডে ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে তাদের। তাই জেতার ক্ষেত্রে আশাবাদী তারাও। সিপিএম প্রার্থী জানিয়েছে তৃণমূল আর বিজেপির পরস্পর বোঝাপড়ার জন্য কোনও প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। দুবরাজপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী নাজিরউদ্দিন বলেন, 'ইসলামপুরে ধর্মীয় রাজনীতি হবে না। সংখ্যালঘু এলাকায় বিজেপি প্রার্থী দিলে ওরা হাসির খোরাক হবে। এ ছাড়াও সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে একটা বোঝাপড়া রয়েছে ওরা মিলেমিশে কাজ করছে।'
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার-এর অভূতপূর্ব রেকর্ড, চলতি বছরের দ্বিতীয় দফা শুরু কবে?
ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী আলাউদ্দিন খান বলেন, 'তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে একটা অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া রয়েছে। যারাই বিজেপি, তারাই তৃণমূল। তাই সবাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে, আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। সেই জন্য তৃণমূলের সুবিধার্থে বিজেপিরা প্রার্থী দেয়নি। তবে আমার ওয়ার্ডে আমি অনেকটাই আশাবাদী, আমি জিতব।' ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী আতাউল খান বলেন, 'আমাদের ওয়ার্ডে বিজেপি নেই। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল ও সিপিএম। এত বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি আমাদের ওয়ার্ডে। এ বারে উন্নয়নের স্বার্থে আমি দাঁড়িয়েছি। তবে জেতার জন্যই দাঁড়িয়েছি আশা করছি আমি জিতব।' ফলে এখন অপেক্ষা ভোটের ফলাফলের।
Supratim Das