বাঁকুড়া জেলার খাতড়া ব্লকের রূপারহীড় গ্রামের স্থানীয় মাঠে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহ্যবাহী আদিবাসী সহরায় উৎসব। খাতড়া থেকে মুকুটমণিপুর পর্যটন কেন্দ্র যাওয়ার রাস্তার ধারে অবস্থিত এই মাঠে প্রতি বছর রাস পূর্ণিমার দিন সহরায় উৎসব ও মেলার আয়োজন করা হয়। এই বছর ৯১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে এই উৎসব। ফলে এক আলাদা উত্তেজনা ছিল।
advertisement
উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বছরের বাজেট প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। প্রতি বছরের মতো এবারও মাঠে একদিনের মেলা বসে। মনিহারি, খাবারদাবার সহ ছোট ছোট দোকান সাজিয়ে বসেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সেইসব দেখতে দুপুর থেকেই বহু মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন। উৎসব কমিটির সদস্য লক্ষ্মীকান্ত সরেন জানান, আট-দশটি গ্রাম মিলে এই মেলা করি। সহরায় আমাদের অন্যতম বড় পরব। এখানে মূলত আদিবাসী নাচ-গানেরই প্রাধান্য থাকে।
সন্ধ্যা নামতেই ছন্দে ছন্দে আদিবাসী সহরায় সাংস্কৃতিক নৃত্য উৎসব শুরু হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং পাশের জেলা পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম এলাকা থেকে নাচের দল আসে। সহরায়, ডান্টা, লাগড়ে, ডাহার, লুহুরী সহ বিভিন্ন আদিবাসী নৃত্যের দল প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী দলগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়। সারারাত ধরে ধামসা, মাদলের তালে চলে আদিবাসী নাচ-গান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মুকুটমণিপুর বেড়াতে আসা বহু পর্যটকও এদিন রূপারহীড়ে ভিড় জমান। তাঁরা জানান, রাস্তার ধারে এত মানুষের ভিড় দেখে গাড়ি থামিয়ে মেলা দেখতে আসেন। পর্যটকেরা বলেন, গরু খুঁটার মতো অনুষ্ঠান আগে কখনও সামনে থেকে দেখিনি। দারুণ অভিজ্ঞতা। আদিবাসী মানুষের একসঙ্গে হাত ধরে নাচের দৃশ্য দেখার মতো। আমাদের ভ্রমণ যাত্রায় অবশ্যই এটা বাড়তি পাওনা।





