দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা থানা এলাকা থেকে শেখ আলিমুদ্দিন, শেখ রাজু, শেখ হামিদুর, সূর্যদেব দণ্ডপাত, শুভঙ্কর নায়েক, শেখ আশরাফ হোসেন, ফ্রেজারগঞ্জ থানা এলাকা থেকে সাধন বিশ্বাস, শেখ মোখলেসুর, কাকদ্বীপ থানা এলাকা থেকে তাপস মাঝি ও উস্তি, নন্দকুমার, কাঁথি থানা এলাকা থেকে মোট ১২ জন সেখানে আটকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: কলকাতার পর বাংলার দ্বিতীয় বিশ্ব বাংলা গেট কোন জেলায় তৈরি হচ্ছে? ঘোষণা হতেই খুশির জোয়ার!
advertisement
এজেন্টের মাধ্যমে একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে ইরাকের বাগদাদে কাজ করতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন। অভিযোগ, তাঁদের ঠিকমতো খেতে দেওয়া হচ্ছে না। বেতন চাইলে দেওয়া হচ্ছে না উল্টে তাঁদের মারধর করে আটকে রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যে তাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁদের বাড়িতে আসতে না দিয়ে পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ভিডিও কলে বাড়িতে ফোন করে পরিবারের লোকজনদের যোগাযোগ করলে বিষয়টি তাঁদের নজরে আনে। এমনকী বর্তমানে তাঁরা যে সমস্যার মধ্যে রয়েছেন তার একটি ভিডিও ফুটেজ তাঁরা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে পরিবারের লোকজনের বর্তমানে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বাড়ি ফেরার আবেদন জানিয়ে একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’ সুন্দরবন পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রককে জানানো হবে।’