আগে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হিমঘর থেকে মজুত আলু বের করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকেই কমছিল হিমঘরে মজুত আলুর দাম। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখা যাবে বলে নয়া নিদেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: মিঠুনেই মাত করার পরিকল্পনা বিজেপির, বেছে-বেছে দেওয়া হচ্ছে কর্মসূচি
advertisement
এবছর পূর্ব বর্ধমান জেলার হিমঘরগুলিতে এখনও অনেক আলু মজুত রয়ে গিয়েছে। তার ওপর ব্যবসায়ীরা উত্তর প্রদেশ থেকে আলু এনে হিমঘরে ভর্তি রেখেছিলেন। ভিন রাজ্যে আলু পাঠানোও বন্ধ ছিল। যে আলু মজুত রয়েছে তা রাজ্যে চাহিদার অনেক বেশি- এমন পরিসংখ্যান সামনে আসতেই আলুর দাম পড়তে শুরু করে। এক সময় যে আলুর বন্ডের দাম বস্তা প্রতি ৯০০ টাকা ছিল সেই আলুই এখন আড়াইশো টাকাতেও কেনার খদ্দের মিলছে না। তার ফলে মোটা টাকা খরচ করে আলু চাষ করে তা হিমঘরে রেখে মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের।
আরও পড়ুন: নিজের পুরুষাঙ্গ নিজেই কেটে ফেললেন! বনগাঁর ব্যক্তিকে নিয়ে আতঙ্কে এলাকাবাসী
অন্যান্য বার পুজোর সময় বা তারপরে আলুর যোগান কমে এলে বস্তা প্রতি আলুর দাম বাড়ে। তখন বেশি দামে আলু বিক্রি করে সেই টাকায় পরবর্তী চাষ করেন কৃষকরা। তাই এবারও ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনেক মাঝারি বা বড় কৃষক হিমঘরে আলু মজুত রেখেছিলেন কিছুটা বাড়তি মুনাফের আশায়। কিন্তু পুজোর পর থেকেই হিমঘরে মজুত আলুর দাম ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। এখন তা তলানিতে এসে পৌঁছেছে।
রাজ্য সরকারের কৃষি বিপণন দফতর হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা কিছুটা বাড়ানোয় আলুর দামের পতন কিছুটা রোধ করা যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। কারণ এবার দেরিতে চাষের কারণে জলদি জাতের আলু ওঠার ক্ষেত্রেও দেরি হবে। ফলে জানুয়ারি মাসে আলুর একটা চাহিদা তৈরি হবে। সে কারণে হিমঘরে মজুত আলুর দাম ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।