ডাকাত ঢুকেছে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি অ্যালার্ম বাজানো হল না কেন সেই প্রশ্ন তুলছেন আশপাশের ব্যবসায়ীরাও। বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটের পাশেই পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এই বর্ধমান শাখা। দোতলা এবং তার সামনে পেছনে আশপাশে ছোট-বড় দোকানের সারি। এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুষ্কৃতীরা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি অ্যালার্ম বাজলে দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না। সেই অ্যালার্ম না বাজায় দীর্ঘক্ষণ ধরে দুষ্কৃতীরা অপারেশন চালালেও আশপাশের কেউ টের পাননি।
advertisement
আরও পড়ুন: মালদহে ছোট করা হল সিপিএমের জেলা কমিটি, কমিটিতে প্রায় ২০ নতুন মুখ, জোর তারুণ্যে
প্রশ্ন উঠছে ব্যাঙ্কের অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। ব্যাঙ্কে ঢোকার মুখেই আগ্নেয়াস্ত্র-সহ নিরাপত্তারক্ষী থাকার কথা। ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধ থাকার কথা। কর্মী অফিসার থেকে শুরু করে আমানতকারী সকলকেই নিরাপত্তারক্ষীর নজরদারির মধ্যে থাকার কথা। একসঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রধারী ছ-সাত জন দুষ্কৃতী একসঙ্গে ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়ল অথচ নিরাপত্তারক্ষী তা টের পেল না কেন সেই প্রশ্ন উঠছে। জেলা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কে সে সময় নিরাপত্তারক্ষী ছিল কিনা বা ব্যাঙ্কের এমার্জেন্সি অ্যালার্ম ঠিক ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কের সিসিটিভি সে সময় কাজ করছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বার ডান্সার-বার সিঙ্গারের প্রেম জমে উঠেছিল! গভীর রাতে ফল হল মারাত্মক...
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের সিঁড়িতে থাকা সিসি টিভি সে সময় কার্যকর অবস্থায় ছিল না। অন্যদিকে, ব্যাঙ্কের ভেতরে থাকা সিসি টিভির হার্ডডিস্ক দুষ্কৃতীরা নিয়ে চম্পট দেয় বলে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের নিয়ে মাঝেমধ্যেই বৈঠক করা হয়। তার পরেও কেন এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।