গৃহবধূর অভিযোগ, দু'জনেরই মুখ ঢাকা ছিল। এরপর স্থানীয় লোকজন ওই গৃহবধূকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তার গলায় সাতটি সেলাই পড়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে পাকড়াও হওয়া এক দুষ্কৃতী ও স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গৃহবধূর আরও অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তাঁর স্বামী রাজেশ। কিন্তু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সবকিছু মেনে নিতেন তিনি। এমনকি পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলতে দিত না তার স্বামী। মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারত না ওই গৃহবধূ। এই করোনা আবহে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বামীর কাছে তার সন্তানদের অনলাইনে পড়াশোনার জন্য একটি স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার কথা বলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অজান্তেই কামড়ে দিয়েছিল বিষধর কালাচ, যুবক যা করলেন, অবাক চিকিৎসকরা
স্বামী ফোন কিনে না দেওযায় নিজের জমানো টাকা থেকেই স্মার্ট ফোন কেনেন রুপা ঝা। কিন্তু স্বামীর কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতেন ফোন। স্বামী বাড়ি থেকে কাজে বেরিয়ে গেলে তারপরই ফোন ব্যবহার করতেন। কিন্তু স্বামী স্ত্রীকে ফোন ব্যবহার করতে দেখে ফেলেন তারপরেই এই খুনের চেষ্টা বলে অভিযোগ। ত ঘটনার পর থেকে পলাতক আরও এক দুষ্কৃতী। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। স্বামী রাজেশ ঝাঁ ও এক দুষ্কৃতীকে আজ বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। তবে কী কারণে খুনের চেষ্টা, তার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
Arpan Mondal