পঞ্চায়েতের এমন পাইলট প্রজেক্ট সফল হওয়ায় অন্যান্য পঞ্চায়েতও আয়ের দিশা দেখছে। ওই পঞ্চায়েতের দাবি, প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অধিকাংশ জমিই অনুর্বর ও কাঁকুড়ে। অধিকাংশ জমিতেই কেবল লাল মোরাম রয়েছে। এই বন্ধ্যা জমি চাষবাসের জন্য একেবারেই অনুকূল নয়। আবার ওই পঞ্চায়েতের আয়ও কম। জনগণকে পরিষেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়। আয়ের আশায় ২০১৪ সালে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বড়গড়িয়া এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ফলচাষের ওপর ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ নেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজো পার্বণ এলেই জেগে ওঠে গোটা গ্রাম, চাহিদা বাড়ে এইসব বাদ্যযন্ত্রের! কোথায় তৈরি হয় জানুন
পশ্চিম বর্ধমানের ওই পঞ্চায়েত প্রায় ১০ বিঘা কাঁকুড়ে জমিতে শুরু হয় ফলের গাছ রোপণ। নানা প্রজাতির প্রায় ২০০০ আম গাছ লাগান হয়। ১০০ টি কাঁঠাল, ১০০ টি আমলকী, ১০০ টি পেয়ারা ও প্রায় ৬০ কলাগাছ সহ বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে প্রায় ২০০ টি মোসাম্বি সহ নানা প্রজাতির লেবু গাছ। ফলের মরশুমে প্রায় ২০ কুইন্ট্যালের অধিক আমের ফলন হয়। কাঁঠাল, পেয়ারা ও লেবু সহ প্রায় ২০ কুইন্ট্যাল ফলন হয়। ওই সমস্ত ফল স্থানীয় হাটবাজারে বাজারজাত করা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গাছগুলি প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ বছর। কঠোর পরিশ্রম পরিচর্যার পর এখন প্রতিটি গাছ ফলন দিতে শুরু করেছে। ওই বাগানের গাছ পরিচর্যা করে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বেকার যুবক রোজগারও করছেন। বাগানের কর্মী সুজয় পাল জানান, “কাঁকুড়ে জমি উর্বর করতে বহু কসরত করতে হয়েছে। এই মাটিতে গাছ তৈরি করা তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল একসময়। কঠোর পরিশ্রমের পরে প্রতিটি গাছে ফলন শুরু হয়েছে।”