দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলির কাছে তো রান্নার গ্যাস কেনার সাধ্য নেই। কাঠের জ্বালানিতেও বেশ খরচ।তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা ওই তরল কয়লা সংগ্রহ করেন। তরল কয়লা প্রথমে শুকিয়ে নেন। তারপরে ওই তরলের সঙ্গে ভাতের ফ্যান ও কাঠের গুড়ো মিশিয়ে লাড্ডুর আকারে গড়ে ফের শুকিয়ে নেন তাঁরা। বেশ পরিশ্রম হয় গুল তৈরি করতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের রাতুরিয়া – অঙ্গদপুর শিল্প তালুকে বেশ কয়েকটি বেসরকারি কারখানায় কয়লা ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টেও কয়লা ব্যবহার হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বোনের বাড়ি যাব বলে বেরিয়ে নিখোঁজ মহিলা! পরে মিলল অন্যভাবে, দেখে আঁতকে উঠলেন এলাকাবাসীরা
ওই সমস্ত কলকারখানার ব্যবহৃত কয়লার গুঁড়ো ও ধূলো জলের সঙ্গে নর্দমা দিয়ে বয়ে যায়। সেই ভারি কয়লার গুঁড়ো নর্দমায় পলির আকারে মজে থাকে। কারখানা চত্বরের বাইরে নর্দমা থেকে এলাকার মহিলা ও পুরুষরা ওই কয়লার পলি সংগ্রহ করেন। সেটি শুকিয়ে একাধিক প্রক্রিয়াকরণ করে জ্বালানি গুল তৈরি করেন। পাশাপাশি দুর্গাপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ড সহ দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লকের দরিদ্র পরিবার ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ওই তরল সংগ্রহ করেন কয়লা খনি অঞ্চল থেকে। কলিয়ারিগুলির জলও নর্দমা দিয়ে বয়ে যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ওই খনি অঞ্চলে অধিক পরিমাণে কয়লার পলি মেলে। কয়লার পলি থেকে তৈরি গুলের জ্বালানির মান বেশ ভাল হওয়ায় ওই সমস্ত পরিবারগুলি স্বাছন্দ্যের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন৷ তবে শিল্পাঞ্চলের কলকারখানা থেকে নির্গত কয়লার তরলের মান খনিঞ্চলের চেয়ে অনেক ভাল মানের বলে দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, কলকারখানার কয়লার তরলের সঙ্গে জ্বালানি তেল মিশে থাকায় গুল উন্নতমানের হয়। জ্বালানির আঁচ ভাল হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যুগ যুগ ধরে তাঁরা ওই তরল কয়লা তথা পলি সংগ্রহ করে আসছেন রান্নার জ্বালানি হিসাবে।





