স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরে পাকা ধান কাটার পরই মাঠে নাড়া পোড়াচ্ছেন কৃষকদের একাংশ। সেইসব কৃষকদের সচেতন করতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন ও কৃষি দফতর। পেশায় দিনমজুর দুর্গাপুরের তপন বাউরিও সাইকেলে গ্রামেগঞ্জে ঘুরে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন। ‘খড় পোড়ানো ক্ষতিকারক, খড় পোড়ানো বন্ধ রাখুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে সচেতন করছেন তিনি। নাড়া পোড়ালে জমি ও প্রকৃতির কী ক্ষতি হয়, তা মাঠে গিয়ে চাষিদের বোঝাচ্ছেন তিনি। দুর্গাপুর মহকুমার কাঁকসা ও দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক পরিমাণ ধান চাষ হয়। শীতের সময় খরিফ চাষের ধান পেকে গিয়েছে মাঠে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিষাক্ত মাছ ঘুরছে উত্তরবঙ্গের বাজারে! বেশি লাভের আশায় সর্বনাশ করছে জেলেরা! ধরা পড়লে কঠিন শাস্তি
চাষিরা জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার পর গাছের অবশিষ্ট অংশ বা নাড়ায় আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেন। ধোঁয়ায় ভরে ওঠে এলাকা। যার ফলে বায়ু দূষণ তো হয়ই। পাশাপাশি জমির মাটিতে থাকা কেঁচো ও উপকারী জীবাণু, কীটপতঙ্গ ধ্বংস হয়ে যায়। একাধিক ক্ষুদ্র গাছও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এর ফলে। মাটি পুড়ে শক্ত হয়ে যাওয়ায় উর্বরতা নষ্ট হয়। ফলে ফের চাষ করলে ফসল কম পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রশাসন নাড়া পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গ্রামবাসীদের সচেতনও করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এখনও অনেকে নাড়ায় আগুন ধরাচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তপনবাবু কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা করছেন। প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। তাঁর দাবি, কিছু কৃষক ভাই নাড়া পুড়িয়ে দেন, তাতে প্রকৃতির ও সমাজের ক্ষতি হয়। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। বাতাসে একাধিক বিষাক্ত গ্যাস মিশছে। যা জীবজগতের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকারক। এমনিতেই শিল্পাঞ্চল হওয়ায় দুর্গাপুরে বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। এছাড়াও এই মহকুমা জুড়ে বহু আদিবাসী সম্প্রদায়ের গ্রাম আছে। সেখানে ডাইনি প্রথা রয়েছে। এই কুসংস্কারের ফলে বহু মানুষ ঘরছাড়া হন। সে বিষয়েও সারা বছর গ্রামগুলি ঘুরে ঘুরে সচেতন করে চলেছেন তিনি।





