কেবল ঝুড়ি বুনে সেখানে তেমন আয় না হওয়ায় তাঁরা বিকল্প আয়ের আশায় শিল্পাঞ্চলে এসে হাজির হন। মাহালিদের বসবাস শুরু হয় বর্তমানের দুর্গাপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজরা এলাকায়। বংশানুক্রমে ঝাড়খণ্ডের মাহালি পরিবারের জীবন-জীবিকা বাঁশের ঝুড়ি সহ নানান সামগ্রী তৈরি। শিল্পাঞ্চলে এসে তাঁরা প্রায় ৬০ বছর আগে জনবসতি গড়ে তোলেন। কলকারখানা সহ চাষাবাদে দিনমজুরের কাজে নিযুক্ত হন ওই পরিবারের সদস্যরা। কোনও দিন কাজ পান বা আবার কখনও বন্ধ থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতছাড়া ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডের বাজার, হিমঘরে জমছে লক্ষ লক্ষ বস্তা আলু! টানাপোড়েনের মাঝে চাষিদের হাহাকার
তাই পেটের টানে মাহালি সম্প্রদায়ের মানুষ ভারি কাজের ফাঁকে বা কলকারখানায় নিত্যদিন কাজ না মেলায় নিজেদের পেশায় ফিরে আসতে ব্যাধ্য হয়েছে বলে দাবি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজরা এলাকায় মাহালি সম্প্রদায়ের বসবাস। ওই এলাকার নামও মাহালিপাড়া। মাহালি সম্প্রদায়ের মানুষ মূলত ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায়। বহু যুগ আগে তাঁরা রুটিরুজির টানে শিল্পাঞ্চলে আসেন। শিল্পাঞ্চলে এসে ওই সম্প্রদায়ের লোকজন কলকারখানায় ও শহরের নানান প্রান্তে দিনমজুরের কাজে নিযুক্ত হন। কিন্তু তাঁদের বংশপরম্পরায় আদি জীবিকা বাঁশের তৈরি ঝুড়ি, কুলো সহ বাঁশের নানান সামগ্রী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যা আজও শহরের বুকে বানিয়ে তাঁরা অর্থ উপার্জন করে চলেছেন। দুর্গাপুরের বাজারে ঝুড়ির ভাল চাহিদা রয়েছে বলে দাবি ওই ঝুড়ি কারিগরদের। চাহিদা মেটাতে না পারায় ভিন রাজ্য থেকে ঝুড়ি আসে শিল্পাঞ্চলের বাজারে। প্লাস্টিকের ঝুড়ি যতই বাজারে আসুক, ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি ঝুড়ির চাহিদা ও কদর কখনও কমবে না। ওই পরিবারের বাড়ির দুয়ারেই রয়েছে বাঁশ বাগান। অর্থাৎ ঝুড়ি বানানোর কাঁচামালের জন্য খুব একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়না ঝুড়ি কারিগরদের। শহরের বুকে ঝুড়ি তৈরি করাই নানান সুবিধা পান তাঁরা। ঝুড়ির আনুষাঙ্গিক অন্যান্য কাঁচামাল মেলে সহজেই। পাশাপাশি তৈরি করা ঝুড়ি বাজারজাত করতেও সমস্যায় পড়তে হয়না মাহালিদের।





