এখানে দীপান্বিতা অমাবস্যায় শুধু মা কালী পূজিতা হন না, সঙ্গে আরও দশমহাবিদ্যা পূজিত হয়ে থাকে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম এবং অন্যান্য জায়গা থেকে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে। স্বাভাবিকভাবেই এই জাগ্রত মন্দিরে সকলের মনস্কামনা পূর্ণ করেন মা কালী। তাই অনেকেই আসেন এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। স্থানীয় বাসিন্দা অচিন্ত পাত্র বলেন, “আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে পুরুলিয়া থেকে দু’জন ব্রাহ্মণ সন্তান চাকরি সূত্রে এই মিঠানি গ্রামে এসেছিলেন। সে সময় উনারা এই গ্রামের লোকজনদের জানিয়েছিলেন গ্রামে একটা মন্দির তৈরি করার। এর পরে গ্রামের ১০ জন একত্রিত হয়ে এই মন্দিরে পুজো শুরু হয়, যা আজও হয়ে আসছে”।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কুটির শিল্পে মায়ের ভুবন’! কালীপুজোয় অভিনব বার্তা নিয়ে হাজির বীরভূমের ‘এই’ পুজো, না দেখলে মিস
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের মিঠানি অনেক পুরনো ও প্রসিদ্ধ গ্রাম। এই মিঠানি গ্রামে গেলে আপনি দেখতে পাবেন দশমহাবিদ্যার মন্দির। গ্রামে প্রবেশের মুখেই এখানে জাগ্রত দেবীর মন্দির রয়েছে। মন্দিরে ঢুকেই মধ্যে রয়েছেন মা কালী। উনার বাম এবং ডান পাশে রয়েছে দশ মহাবিদ্যার শিলা মূর্তি। কালী, তারা, ষড়সী, বগলামুখী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী সহ আরও দেবীর মূর্তি। সেখানে বছরের অন্যান্য দিন নিত্য পুজো হয়। তবে কালীপুজোর রাত্রে এখানে মা কালীর পুজোর পাশাপাশি দশ মহাবিদ্যার পুজো হয়। যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। মাকে দেওয়া হয় বিশেষ খিচুড়ি, পরামান্য, বিভিন্ন ফল মিষ্টান্ন দিয়ে ভোগ। জাগ্রত এই মন্দিরে সকলের মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন, অনেক সময় গ্রামের কেউ দুর্ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকলে তার মঙ্গল কামনায় এখানে মায়ের কাছে দুটো ধূপকাঠি নিয়ে এসে প্রার্থনা জানালে মা কালীর কৃপায় সে ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে, এমনটাই ভক্তদের বিশ্বাস। তাই এই বিশ্বাস ও ভক্তিকে কেন্দ্র করে দীপাবলিতে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে মন্দিরে।