আসানসোল মহকুমার অন্তর্গত হিরাপুর কর্মকার বাড়ির আদি পুজোয় থাকে না কোনও বলি প্রথা, তবে এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে নানা রীতিনীতির কথা। পুজোয় থাকে না শহরের থিমের পুজোর মতো জাঁকজমক পূর্ণ লাইটের ছোঁয়া তবে ঝাড়বাতি ও পুরনো সময়ের টিউবলাইট দিয়েই সাজানো হয় পুজো মণ্ডপ চত্বরে। সেই ঐতিহ্যর পুজো দেখতে এখনও মানুষ ভিড় জমান আসানসোলের এই পুজো বাড়িতে।
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের কর্মকার বাড়ির সদস্য গোপীনাথ কর্মকার বলেন, “এই পুজো যখন প্রথম নন্দলাল কর্মকার বাবু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তখন ঘটেই পুজো হত। কিন্তু প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ বছর ধরে প্রতিমা দিয়ে পুজো হয়ে আসছে। পুজোটা হীরাপুরের মধ্যে আদি পুজো। আসানসোল মহকুমার অন্তর্গত হিরাপুর কর্মকার পাড়া এলাকায় রয়েছে কর্মকার বাড়ির আদি পুজো।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পুজো ১৭৫৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয়, এবারে তাদের প্রায় ২৬৮ বছরে পদার্পণ করছে। কথিত আছে এই বাড়ির সদস্য নন্দলাল কর্মকার দামোদর নদীতে স্নান করতে গিয়ে একটি ঘট পান, সেই ঘট নিয়ে এসেই তিনি বাড়িতে পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে ঘটে পুজো হত। পরে প্রায় ৮০ বছর ধরে এখন প্রতিমা তৈরি করে পুজোর হয়ে আসছে। মায়ের মূর্তি এখানে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া থাকে সম্পূর্ণ ডাকের সাজে সাজান হয়।
পুজোর বিশেষত্ব, এখানে কোনওরকম পশু বলি দেওয়া হয় না শুধুমাত্র চাল কুমড়ো, আঁখ বলি দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের পুজো করা হয়। মন্দিরের মধ্যেই ভাজা হয় খই এবং বর্তমানে ঢেঁকি না পাওয়ায় মেশিনে কোটা আতপ চালের আর্সে তৈরি করে পুজোর চারটে দিন ভোগ নিবেদন করা হয় সঙ্গে দেওয়া হয় মিঠাই ও ফল। প্রত্যেক বছর পুজোর আগেই সুদূর আমেরিকাতে থাকা কর্মকার বাড়ির সদস্যরা চলে আসেন এই পুজোতে। তাই সব মিলিয়েই কর্মকার বাড়ির পুজোয় রীতিনীতি এখনও একই রকম রয়ে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি।