ধৃত দুই অভিযুক্ত
ধৃতদের বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালত ধৃতদের ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা দেওয়ার নামে তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় বসিরহাটে বড় পরিকল্পনা পুলিশ-প্রশাসনের! বিএসএফকে সঙ্গে নিয়ে সেরে ফেলল বিরাট কাজ
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাণ্ডবেশ্বর থানার খোট্টাডিহি এলাকার একজন বাসিন্দা ওই প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হয়েছিলেন। তিনি বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডাল থানা এলাকায় থাকেন। সোমবার তাঁর সঙ্গে ওই প্রতারকদের যোগাযোগ হয়। প্রতারকরা স্বল্প মূল্যে প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা দেওয়ার প্রলোভন দেখায় বলে অভিযোগ। সেই মতো ওই ব্যক্তি সিউড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে প্রচারকদের কাছ থেকে বেশ কিছু মুদ্রা কিনেছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরে দেখেন সেগুলি নকল মুদ্রা। এর পরেই তিনি অণ্ডাল থানার উখড়া ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন এবং ওই ব্যক্তি প্রতারকদের ফাঁদে ফেলতে পুলিশের সহযোগিতা নেন। সেই মতো প্রতারকদের ফের ওই ব্যাক্তি স্বর্ণমূদ্রা কিনবে বলে জানান। প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার স্বর্ণমূদ্রা নিয়ে উখড়া এলাকায় আসতে বলে। তার জন্য প্রতারকদের অগ্রিম তিনি ৫০ হাজার টাকা বায়নাও দেন। ওই দুই প্রতারক বুধবার রাতে ২০০ টি নকল স্বর্ণমূদ্রা নিয়ে উখড়া এলাকায় ওই ব্যাক্তিকে দিতে আসে।
সেই মূহুর্তে পুলিশ তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। আসানসোল – দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (অণ্ডাল) পিন্টু সাহা জানান, নকল স্বর্ণমূদ্রা বিক্রি করে সাধারণ মানুষকে এই চক্র প্রতারিত করছিল। এই ধৃত দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আরও যারা রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হবে। তবে সাধারণ মানুষকে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।