অভাবের সংসার টানতে পেশাগতভাবে তাকে কাঠের কাজ করতে হয়। কিন্তু তার স্বপ্ন বড় ওয়েট লিফটার হওয়ার। ওয়েট লিফটিং করে দেশকে পৌঁছে দেওয়া দশের কাছে। কিন্তু বাধা সামর্থ্য, অর্থের অভাব। তবে অদম্য তার মনের জোর। সমাজই তার অনুপ্রেরণা। মানুষের ভালবাসা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাকে। এখনও অনুশীলনের সময়ে কয়েকশো কেজি ওয়েট লিফটিং করতে পারেন তিনি। সহযোগিতা করেন অন্যরা। যেমন তার সুঠাম চেহারা, তেমনই তার সুন্দর ব্যবহার। তবে সংসারের পাশাপাশি স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে সে। পশ্চিম মেদিনীপুরের এমনই এক কৃতি কার্তিক ভূঁইয়া। তিনি খেলেছেন জেলা এবং রাজ্যের একাধিক টুর্নামেন্ট। ঝুলিতে রয়েছে পুরস্কারও। কিন্তু সেই পুরস্কার-সম্মান তো আর সংসার চালাবে না! সংসার চালাতে ভরসা কাঠের কাজ করে দিন মজুরি রোজগার করা।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়িতে এই পদ্ধতি মেনে করুন মুরগি প্রতিপালন, মিলবে বেশি লাভ, জেনে নিন কীভাবে
ছোট থেকেই তার নেশা ওয়েট লিফটিং করা। স্কুল জীবন থেকেই তিনি ধরেছেন সংসারের হাল। ২০০০ সাল থেকে নিজেকে সুস্থ রাখার তাগিদেই শুরু ওয়েট লিফটিং।সেই মত নিজেকে এক এক করে তুলে ধরেছেন। সকাল থেকে রাত এক করে স্বপ্ন দেখে যাচ্ছেন তিনি। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা পরিবারে। দুবেলা জোটেনা পুষ্টিকর খাবার। তবুও প্রতিদিন সকাল থেকে প্র্যাকটিস, দৌড় কিংবা শরীর চর্চা করেন তিনি। এছাড়াও সপ্তাহে অন্তত তিন দিন তিনি ওয়েট লিফটিং করেন। বেশ কয়েক বছর ধরে তাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বেলদার বাসিন্দা বিব্রত মিশ্র।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে কার্তিক বেলদা অ্যাথলেটিক ক্লাবের জিমে অনুশীলন নেয়। তিনি একা দু’কুইন্টালেরও বেশি ওজন তুলতে পারেন দুই হাতে। সামান্য সাহায্যে সেই ওজনের পরিমাণ দাঁড়ায় আড়াই কুইন্টালেরও বেশি। কার্তিকের ইচ্ছে দেশের পাশাপাশি বিদেশে গিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করা। মনের জোর নিয়ে এগিয়ে চলেছে সে। সারাদিনের হাড় ভাঙানি পরিশ্রমের পর তার অনুশীলন চালিয়ে যায় সে। সমাজ তার অনুপ্রেরণা, সকলকে বার্তা দিয়েছেন সুস্থ থাকার। তবে আর কতদিন তার এই স্বপ্ন বুনতে সময় লাগবে তা বলবে সময়।
রঞ্জন চন্দ