উচ্চমাধ্যমিক পর্ষদের নির্দেশিকা মতো পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড পরিচয় পত্র দেখে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে| হঠাৎ করেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় এক ছাত্রী তাঁর এডমিট কার্ড খুঁজে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে , উচ্চমাধ্যমিক হলেও এই বছরের উচ্চমাধ্যমিকে যে সব ছাত্রছাত্রী বসতে চলছে তাদের ক্ষেত্রে জীবনের এটাই হল প্রথম বড় পরীক্ষা | করোনার কারণে এই বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বসতে হয়নি মাধ্যমিক পরীক্ষায় | ফলে বড় পরীক্ষার অভিজ্ঞতাও নেই এদের| ছাত্রী ঠিক করে মনেও করতে পারছিল না যে সে অ্যাডমিট কার্ড বাড়ি থেকে এনেছিল না ভুলে ফেলে এসেছিল |
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা না ভালোবাসা...? কোনটি জীবনে সবচেয়ে বেশি চায় মানুষ? গবেষণায় 'ফাঁস' চমকে দেওয়া উত্তর!
ছাত্রীর কান্নার আওয়াজ শুনেই পৌঁছে যান বিধায়ক৷ ছাত্রীকে আস্বস্ত করতে থাকেন | পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পর্ষদের অধিকারীদের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রীকে ভিতরে প্রবেশ করান বিধায়ক, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি থাকলে ছাত্রীর জন্য বরাদ্দ বসার জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তখন তিরিশ মিনিট বাকি ছিল পরীক্ষা শুরুর৷ ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিধায়ক নিজেই ছুটে যান ছাত্রীর বাড়িতে৷ সেখান থেকে বাইকে করে অ্যাডমিট কার্ড এনে পরীক্ষা শুরু আগেই ছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় কার্ড৷ নির্বিঘ্নেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পায় ছাত্রীটি৷
বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর তৎপরতায় ও মানবিকতায় জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বড় বাধা অতিক্রম করল ছাত্রীটি৷ বিধায়ক বলেন , মানবিকতা বা সাহায্য বলে কিছু বুঝি না, ছাত্রীটি সমস্যায় পড়েছিল, তার পাশে দাঁড়ানো সাধারণ মানুষ হিসাবে আমার কর্তব্য, আর আমি তাই করেছি | আমি নিজে যতদিন পরীক্ষা চলবে ততদিন বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে ঘোরাঘুরি করব, যাতে আমাদের ছেলে মেয়েরা নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিতে পারে৷ পরীক্ষা শুরু হাওয়ায় সেই ছাত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলার সুযোগ পাইনি৷ তবে ছাত্রীর পরিবারের তরফে বিধায়ককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে |