এদিন সকাল ১০ টার আগে থেকেই ঋত্বিকের বাড়িতে চলছিল খবরের চ্যানেল। টিভির পর্দায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের মুখে ছেলের নাম শুনতেই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন ঋত্বিকের বাবা-মা ও পরিবার পরিজন।
ঋত্বিকের সাফল্যের খতিয়ান এখানেই শেষ নয় সিবিএসই–র নিট পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম হয়েছে ঋত্বিক। সারা দেশে তাঁর Rank ১৩। ৭২০ নম্বরের পরীক্ষায় ঋত্বিক পেয়েছে ৬৭৬ নম্বর। ঋত্বিকের বাবা বিদ্যুৎকুমার সাউ তমলুকের বল্লুক হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। মা শাশ্বতী সাউ গৃহবধূ। মায়ের ইচ্ছে মতোই কার্ডিয়াক সার্জন হতে চায় এই মেধাবী ছাত্র। ডাক্তারি পড়ার জন্য প্রথম পছন্দ এইমস।
advertisement
পড়াশোনার পরিবেশটাই সাফল্যের মূল কারণ বলে মনে করেন বইপোকা এই হবু ডাক্তার। বায়োলজির বিষয়ে আগামী বছরের পরীক্ষার্থীদের জন্য তাঁর পরামর্শ বিষয়টিকে একেবারে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তে হবে। নিট গাইড বইও অনুসরণ করা জরুরি বলে জানান ঋত্বিক। ছেলের সাফল্যে খুশি ঋত্বিকের বাবা-মা। তাঁরা জানালেন,তাঁদের দুই ছেলের মধ্যে ঋত্বিক বড়। ছোটবেলা থেকে সে বই পাগল। বই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তে ভালোবাসে। তাঁর প্রিয় লেখক অবশ্যই সত্যজিত রায়।
২০১৬ সালে মাধ্যমিকে রাজ্যে ১৩ নম্বর স্থান করেছিলেন ঋত্বিক। কে ভি পি ওয়াই - ২০১৭ এর ফেলোশিপ প্রাপক ঋত্বিক ছোট থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখত ঋত্বিক। উচ্চমাধ্যমিকে অসাধারণ সাফল্যের পাশাপাশি নিট পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়েও উচ্ছ্বসিত ঋত্বিক। খুশি তাঁর বাবা-মা এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। বাংলা মাধ্যমে মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেও ইংরেজি ভাষায় নিট দিয়েছিলেন ঋত্বিক।