তবে, গণনা ঘিরে তৎপরতাও ছিল তুঙ্গে৷ জানা গিয়েছে, গণনার জন্য মোট একুশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল সমশেরগঞ্জ সহ গোটা জঙ্গিপুর এলাকায়।
আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই অনুব্রতহীন বীরভূমে তুুমুল উত্তেজনা, পৌঁছল বিশাল পুলিশ বাহিনী
ভোটের গণনার জন্য সমশেরগঞ্জ সহ গোটা জঙ্গিপুর জেলায় আরও অতিরিক্ত ছয় কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। ভোটের জন্য আগে থেকেই ছিল ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধুমাত্র গণনার জন্য পাঠানো হয়েছে আরও ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বর্তমানে সমশেরগঞ্জে মোট ২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া, রাজ্য পুলিশের প্রায় দেড় হাজার পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল সমশেরগঞ্জ সহ গোটা জঙ্গিপুর ডিস্ট্রিক্ট অঞ্চলে।
advertisement
সমশেরগঞ্জ জয়কৃষ্ণপুর এবিএস হাই স্কুলে স্ট্রং রুমে নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান৷ স্ট্রং রুমের ছাদের উপর থেকে চলছিল নজরদারি। নজরদারি চালানো হয়েছে ড্রোনের মাধ্যমেও৷ প্রতি গণনাকেন্দ্র প্রতি এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল৷
আরও পড়ুন: জয়ী ঘোষণার পরেই বলে পরাজিত! BJP প্রার্থীদের হয়ে পথে সুকান্ত, তুমুল তোপ
সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় গণনা কেন্দ্রের সামনে। কারণ জমায়েতকারীরা বার বার গণনা কেন্দ্র সামনে চলে আসে। তখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী ধাওয়া করে লাঠি উঁচিয়ে। ভিড় হঠাতে চলে মাইকিংও৷
এসপি জঙ্গিপুর পি ভি জি সতীশ বলেন, ‘‘আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স আছে, সেন্ট্রাল ফোর্স আছে, কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তাই আমাদের ফোর্স তৈরি।’’
সমশেরগঞ্জ ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত। গত আট জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনও সমশেরগঞ্জ-সহ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় চলে অশান্তি, বোমাবাজি, মারধর। সমশেরগঞ্জ সুলিতলা, সর্দার পাড়া, ভবানীবাটি, পূর্ব দেবীদাসপাড়া ভোটের আগে-পরে ও ভোটের দিন উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয়। এমনকি ভোটের পরের দিনে পূর্ব দেবিদাস পাড়ায় বোমাবাজির পর সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ধারাল অস্ত্র, হেঁসুয়া সহ একাধিক অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ARPITA HAZRA