এরপর রাত দেড়টা থেকে পাথর ইট ছোড়া হয় বাড়িতে। বাড়ির বেড়া দেওয়া পাঁচিল ভেঙ্গে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এখানে বেশিরভাগ গ্রামবাসী জোটের সমর্থনকারী। তৃণমূল ভোট পাবে না। সেই আশঙ্কা থেকেই শাসানি ও হামলা শুরু করে শাসকদল। রানিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আজাবুল। আতঙ্কিত পরিবার থেকে গ্রামবাসীরা। গ্রামে পুলিশ পিকেট বসেছে। আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের জন্য বিরাট নির্দেশ! সব ছুটি বাতিল, বড় চ্য়ালেঞ্জের মুখোমুখি উর্দিধারীরা
গ্রামে ৭ টা বাড়িতে ভাঙচুর করে এমনকী গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। গাড়ি চুরমার করে সামনের কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। আজাবুলের বাড়ির সামনে বাড়ির টিনের ছাউনি ভেঙেছে। এমনকী মেরে হাত ও পায়ে বাঁশ দিয়ে মারায় আহত গ্রামের বাসিন্দা আঙ্গুরা বিবি। জোট প্রাথী সমর্থক এই গ্রামের লোকেরা। সে কারণে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে মারধর করে বেধড়ক। বাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। গাড়ি ভাঙচুর করে. গাড়ির কাচ ভেঙ্গে দেয় দুষ্কৃতীরা। গ্রামে একাধিক দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ভোটের প্রচারে বামেরা এবার এমন কাণ্ড ঘটাল, দেখলে ভিরমি খাবেন! মুহূর্তে ভাইরাল
আজাবুল ইসলাম (জোট প্রাথী কংগ্রেস + বাম ) বলেন, ‘তৃণমূলের গুণ্ডারা মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালায়। আমি জোট প্রাথী, এই গ্রামে জোটের সমর্থক। সেই জন্য শাসাতে আসে তৃণমূল। আমার বাড়িতে ইট পাথর ছোড়ে। বেড়ার দেওয়াল ভেঙে দেয়।’ হাসিনা খাতুন ( আজাবুলের স্ত্রী ) স্ত্রী জানান, ‘বাড়িতে বাচ্চা নিয়ে থাকি, আমরা আতঙ্কিত। তৃণমূলের গুণ্ডা বাহিনী এসে তাণ্ডব চালায়। আমরা রানিনগর থানায় অভিযোগ করেছি।’
আঙ্গুরা বিবি জানান, ‘আমার দোকানে এসে দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর করে। আমাকে পায়ে মারে। হাত দিয়ে বাধা দিতে গেলে আহত হই। আমরা জোট সমর্থন করি। তাই তৃণমূলের হামলা।’ মোদিনুর ইসলাম (গাড়ি যার ভাঙচুর হয় জোট সমর্থক ) জানান, ‘আমরা জোটের সমর্থক। তৃণমূলের গুণ্ডা বাহিনী আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। খুবই আতঙ্কে আছি।’ সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগে বলাই যায় রানিনগর উত্তপ্ত।
অর্পিতা হাজরা