বর্ধমান-কাটোয়া রোডের মধ্যে কৈচরের কাছে রয়েছে যজ্ঞেশ্বরডিহি গ্রাম। আর এই যজ্ঞেশ্বরডিহি গ্রামেরই বেশ কিছু চাষি ধান চাষের পরিবর্তে এখন তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কৃষক তপন কুমার ঘোষ জানান, প্রথম এই জায়গায় ১৯৯৩ সালে তরমুজ চাষ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁকে দেখে বাকিরাও তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। গত ২-৩ বছর তরমুজ চাষের প্রচলন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আগে শেওড়াফুলি থেকে তরমুজের বীজ কিনে আনতে হত, কিন্তু এখন দিয়ে যায়। ধান চাষ ছেড়ে এখন অনেকেই তরমুজ চাষে মেতেছেন। কারণ ধান চাষের থেকে এই চাষ অনেক বেশি লাভ হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: সরকারি নার্সারিতে আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে চারাগাছ
বর্ধমান-কাটোয়া রোড দিয়ে যাতায়াত করলেই যজ্ঞেশ্বরডিহি গ্রামের কাছে, প্রধান সড়কের দু’পাশে তাকালেই চোখে পড়বে এই তরমুজ চাষিদের। জমি থেকে তুলে আনা একদম টাটকা তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসে থাকেন তাঁরা। সারাদিনে যাতায়াতের পথে বহু মানুষ এই রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাটকা তরমুজ কিনে নিয়ে যান। এভাবে জমির টাটকা তরমুজ কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি হচ্ছেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী