কিন্তু ভয়াবহ বন্যা ও ভাঙনের ফলে একাধিকবার ভাগীরথী তার গতিপথ বদলেছে। ফলে ভিটেমাটি হারিয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে গ্রামের মানুষ নদীর ওপারে গিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন। সেখানেই গড়ে ওঠে তিনটি আলাদা জনপদ- চর কবিরাজপুর, চর বিষ্ণুপুর ও চর কালিকাপুর। বর্তমানে চর কবিরাজপুর ও চর কালিকাপুর মিলিয়ে রয়েছে একটি বুথ। যেখানে ভোটার ২৪০ জন। চর বিষ্ণুপুরের আলাদা বুথ, ভোটার প্রায় ৫০০ জন। কিন্তু ভাগীরথী আবার নদিয়া জেলার দিকে ভাঙছে, বদলে দিচ্ছে গোটা এলাকার চিত্র।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরনো মালিকের কাকার গাজোয়ারি, নতুন কেনা জমিতে চাষে বাধা! ধুন্ধুমার মালদহে, দেখুন ভিডিও
ভাঙনের ভয়ে মানুষ যেমন আতঙ্কিত, তেমনই টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার যন্ত্রণা তাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা রত্না মাহান্ত বলেন, আমাদের চরম অসুবিধা হচ্ছে। এই জলের মধ্যে খুব কষ্টে আছি। অনেকদিন ধরে এই অবস্থা ।
টানা বৃষ্টি, তার সঙ্গে ভাগীরথী ফুঁসে ওঠায় এই তিনটি গ্রাম আজ পুরোপুরি জলমগ্ন। এমনকি লাগোয়া নদিয়া জেলার কয়েকটি গ্রামও একই দুর্দশার শিকার। একসময় যে সবুজ পাটক্ষেত, সব্জি জমি, কলাবাগান গ্রামের রোজগারের প্রধান অবলম্বন ছিল, সেগুলো এখন জলের নিচে। বেশ কয়েকটি বাড়ির উঠানেও থইথই জল। অনেকে ঘরে ঢুকে পড়া জল সামাল দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না, কৃষকেরা জমিতে নামতে পারছেন না, বধূরা পানীয় জল আনতে গিয়ে চরম অসুবিধায় পড়ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পরিস্থিতিতে জলবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেদন, প্রশাসন যেন দ্রুত এগিয়ে এসে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করে। কারণ, এই দুর্দশা আর শুধুমাত্র প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়, এটা হয়ে উঠেছে বছরের পর বছর জমে ওঠা এক অন্তহীন যন্ত্রণা। যা প্রতি বর্ষাতেই তাদের জীবনের সঙ্গে লড়াইয়ের গল্প নতুন করে লিখে দেয়।