বর্ষার সেই অর্থে এখনও ঢোকেনি। সামান্য গ্রীষ্মকালীন বজ্রপাতসহ বৃষ্টি কিংবা ক্ষনিকের বৃষ্টিতেই বর্তমানে সেই রাস্তায় প্রায় হাঁটু সমান জল পচে সবুজ হয়ে আটকে রয়েছে, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। আর তার ওপর বিভিন্ন সবজি ও আনাজের পচা অংশ পড়ে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে আরও বিভীষিকাময়। স্বাভাবিকভাবেই এই জল মানুষের শরীরে লাগার ফলে বিভিন্ন রকম চামড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং সেই জল বেশিরভাগ মানুষের পায়ে লাগার ফলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। অথচ রাস্তার জমা সেই জল পরিষ্কার করার কেউ নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: মাটিই যখন দেবতা! স্নান সেরে বসুন্ধরার মাটির ঢেলা মাথায় বয়ে নিয়ে পুজো দেন ভক্তরা
খানিকটা ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই রয়েছে শান্তিপুরের অতি জনপ্রিয় সবজি মার্কেট, তাদের ব্যবসার জায়গাটিও বেশ খানিকটা নিচু। এক্ষেত্রেও পুরসভা কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তাদের। তবে তারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে একটি পাম্প সেট কিনে সেই জমা জল পার্শ্ববর্তী একটি জলাভূমিতে ফেলছেন। কিন্তু তাদের বক্তব্য, রাস্তার জল পরিষ্কার করার কথা পুরসভার সেখানে সাধারণ মানুষ কেন করবে! কারণ ব্যবসাদাররা ভোর থেকে ব্যাস্ত থাকে ব্যবসা নিয়ে সে ক্ষেত্রে বর্ষাকালে নিয়মিত এই জল পরিষ্কার তাদের কাছে বিড়ম্বনা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে পুরসভার দুই এবং তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অতীতে এই এলাকায় একটি নালা ছিল যেখানে সমস্ত জল দিয়ে পড়ত। তবে বর্তমানে বিভিন্ন বাড়িঘর উঁচু হয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই রাস্তা নিচু হয়ে সেই জল পাশ হতে পারছে না। ইতিমধ্যে স্থায়ী সমাধানের জন্য তারা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন।
রাস্তার একপাশে তিন নম্বর এবং অন্য পাশে এলাকা পড়ছে দুই নম্বর ওয়ার্ডের। দু নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পুষ্পা দাসের স্বামী সত্যনারায়ণ দাস জানান, “আমরা দুই কাউন্সিলর মিলে বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি। দরকার এখানে স্থায়ী সোপ ট্যাংক অথবা জল নিকাশির কোন ব্যবস্থা, যা এই মুহূর্তে করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী বর্ষের আগে নিশ্চয়ই সেটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সকলেই পড়ছেন এই জল যন্ত্রণায়। অন্যদিকে তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রশান্ত বিশ্বাস জানান, ক্রমশ ব্যবসায়িক স্থল বাড়িঘর উঁচু করা হচ্ছে রাস্তা যাচ্ছে নিচু হয়ে সেই কারণেই এই ধরনের সমস্যা। তবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে অবিলম্বে এই সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে এবং আগামী বর্ষার মধ্যেই সেই আশায় করছেন সকলে।
Mainak Debnath