আরও পড়ুন Breakfast @ Rs.20: এই বাজারেও মাত্র ২০টাকায় পেয়ে যাবেন পঞ্চপদ! জানুন মেনু
দূর দূরান্ত থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করে নিয়ে আসছেন গ্রামের কিছু মানুষ । তবে পুকুরের জলের উপরেই একমাত্র ভরসা করেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। মালদহের গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের ধুমাদিঘি সহ আশপাশের গ্রামগুলিতে এখন চরম পানীয় জলের অভাব তৈরি হয়েছে। গ্রামে নেই পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা। নেই কোনও টিউবওয়েল। সারাবছর গ্রামবাসীদের ভরসা একমাত্র কুয়োর জল। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ অর্থাৎ প্রচন্ড গরমে কুয়োর জলের স্তর অনেকটা নেমে যায়। জলস্তর নীচে নেমে যাওয়াই কাদাজল ওঠে কুয়ো থেকে। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে পুকুরের জল খেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
advertisement
আরও পড়ুন Birbhum news : পড়ুয়াদের ফোনের নেশা থেকে বাঁচাতে পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ
যে পুকুরে স্নান করে গবাদিপশু, তার জলই পান করতে হচ্ছে। জামা কাপড় কাচা হয় সেই পুকুরেই। সেই জল পান করতে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। একদিকে কুয়োর জল অন্যদিকে পুকুরের জল দীর্ঘদিন খেয়ে গ্রামের বেশকিছু মানুষদের শরীরে বাসা বাঁধছে চর্ম রোগ সহ বিভিন্ন অসুখ। বর্তমান আধুনিক যুগে এই ছবি উঠে আসছে গাজোল ব্লকের কানোট, বেতা শাড়ি, ধুমাদিঘী গ্রামে। গ্রামবাসীদের আভিযোগ, পরিশ্রুত পানীয় জলের জন্য বারবার আবেদন করলেও কোনো লাভ হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ব্লক অফিসে বহু বার আবেদন জানানো হয়েছে।সমস্যা সমাধানে কেউ এগিয়ে আসেনি, তাই সারা বছর ধরে তাদের কুয়োর জল খেতে হয়। আর তীব্র গরমে কুয়োর জল স্তর নেমে গেলে ভরসা একমাত্র গ্রামের পুকুর।