চলতি বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পাটের জমিতে জল জমে যাওয়ায় অনেক কৃষক পাট কেটে নিচ্ছেন। গাছের পরিপক্কতা আসার আগেই ফসল কাটতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা, যার ফলে প্রভাবিত হবে ফলন ও মান। অন্যদিকে, অনেক জায়গায় আবার পর্যাপ্ত জলের অভাবে পাট পচানোর জন্য সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা।
আরও পড়ুনঃ দুষ্কৃতিদের ধরতে গিয়ে পা পিছলে গেল পুলিশের, তারপর সব শেষ!
advertisement
অতিবৃষ্টির কারণে পাটের জমিতে জল জমে যাওয়ায় বহু কৃষক পাট কাটতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ জমিতে জল জমে থাকলে পাট পচে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এমতাবস্থায় কৃষকরা তাঁদের পাট গাছ পরিপক্ক হওয়ার আগেই কেটে নিচ্ছেন, যার ফলে পাটের ফলন ও গুণগত মান দুই-ই কমে যেতে পারে।
চাষিদের কথায়, বর্ষাকালে পাট কেটে চাষিরা নদী, নালা, খাল, বিল, ডোবায় জাঁক দেন। এর জন্য দরকার হয় বিপুল পরিমাণ জল। বর্ষাকালে ভাল বৃষ্টি হলেই সেটা সম্ভব। এবার টানা বৃষ্টিতে পুকুর, জলাশয়ে জল জমতেই মুখে হাসি পাট চাষিদের। যদিও চলতি বছর বর্ষার শুরুতে তেমন একটা বৃষ্টি না হওয়ায় আশঙ্কায় ভুগছিলেন চাষিরা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি বদলানোয় তাঁরা খুশি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নবগ্রাম ব্লকের বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকা জুড়ে চাষিদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। সকলেই পাট গাছ কেটে তা চাষের মাঠে জমা জলে ডুবিয়ে পচাতে শুরু করেছেন। নবগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে, কৃষকরা পাট পচানোর পর আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত। পাট চাষ করতে বিঘায় ছয়-সাত হাজার টাকা খরচ হয়। সাধারণত ২৩-২৫ দিনের মত সময় লাগে পাট পচতে। তারপর সেটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জুট মিলে পাঠানো হয়।