দীর্ঘদিন ধরেই এই জল যন্ত্রণার সঙ্গে লড়াই করে জীবন কাটাচ্ছেন দুবড়া গ্রামের বাসিন্দারা। এ যেন তাদের গা সওয়া হয়ে গেছে। অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিদের বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। তাই টিউবয়েল খারাপ হয়ে গেলে নিজেরাই চাঁদা তুলে সারানোর উদ্যোগ নেয়। কারণ জানে তাদের কথায় কেউ কর্ণপাত করবে না এবং তাদের সমস্যার সমাধান হবে না। দূরদূরান্ত থেকে নিজেদের পানীয় এবং ব্যবহারের জল নিয়ে আসেন গ্রামের মহিলারা।
advertisement
আরও পড়ুন: স্বপ্নের গ্রাম, একবার ঢুঁ না মারলে বড় মিস, ঝাড়গ্রাম বেড়াতে গেলে যাবেন নিশ্চিয়ই
গ্রামে একটিমাত্র সাবমারসিবল পাম্প রয়েছে, সেখানেও পর্যাপ্ত জল মেলে না। সেই সাবমারসিবল পাম্প থেকে জল নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। তাই গ্রামের মহিলারা ভোর হলে সেখানে ছুটে যায় লম্বা লাইন দেওয়ার জন্য, কারণ কারো ভাগ্যে জল জোটে, আবার কেউ জল না পেয়ে ফিরে আসে। জল সংকট মেটানোর জন্য গ্রামে পাইপলাইন বসলেও তাতে জলের দেখা মেলে না। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে জামবনি ব্লকের অবস্থান ঝাড়গ্রাম জেলার অন্যান্য ব্লকের থেকে একটু আলাদা। এখানে ভৌগোলিক পরিবেশের জন্য জল সংকট দেখা দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও আবার অন্যদিকে সাফাই দিয়ে তাদের বক্তব্য এলাকায় জল সংকট দেখা দিলে রোটেশন পদ্ধতিতে জল সরবরাহ করা হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামবাসীরা এই নিয়ে প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে বারবার লিখিত অভিযোগ হলেও তাদের সমাধান হয় না বলে অভিযোগ। কবে তাদের এই সমস্যার সমাধান হবে কবে তারা তীব্র গরম পড়লেও তাদের মনে জল সংকটের চিন্তা আসবে না সেই নিয়েই দিন কাটাচ্ছে গ্রামবাসীরা। জেলা পরিষদের তরফ থেকে খুব শিগগিরি সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানানো হচ্ছে।
বুদ্ধদেব বেরা