পূর্বস্থলীর চুপি কালীতলা এলাকার বাসিন্দা শেখ আকিব মহম্মদ খারকিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ২০১৮ সালে ডাক্তারি পড়ার জন্য গিয়েছিলেন। বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে আটকে যুবক। আপাতত তিনি রয়েছেন আন্ডারগ্রাউন্ডে। সেখানেই রয়েছেন আরও অনেক ভারতীয় ছাত্রছাত্রী। চরম আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের।
advertisement
পরিবারকে আকিব জানিয়েছেন, সেখানে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে এটিএম। তাঁর কাছে কিছু শুকনো খাবার বাকি রয়েছে। সেই খাবার শেষ হয়ে গেলে দিন চলবে কী করে তা ভেবেই চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন সকলে।
পূর্বস্থলীর চুপি বাড়িতে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন আকিবের মা বাবা, মামা-সহ গোটা পরিবার। অবিলম্বে সরকার ভারতীয় ছাত্রদের ফেরানোর ব্যবস্থা করুক চাইছেন পরিবারের সকলেই। তাঁরা বলছেন, এখনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে। কিন্তু এরপর মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাছাড়া মোবাইলের চার্জও ফুরিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে সরগরম বহরমপুর, মুখোমুখি বিতর্কে অধীর-নাড়ু!
আকিব জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পরই অন্যান্যদের সঙ্গে তাঁকেও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঘর ছাড়তে হয়। বেশিরভাগ প্রয়োজনীয় সামগ্রীই সঙ্গে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এটিএমগুলির সামনে টাকা তোলার জন্য লাইন পড়ে যায়। এখন কোনও এটিএম-এই টাকা নেই। খাবারও নেই। সব জিনিসের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এদিকে আকাশ পথও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও দেশে ফিরতে পারছেন না অনেকেই। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, '' রাশিয়ার হামলার ছবি যত দেখছি ততই শিউরে উঠছি। এক একটা বিস্ফোরণে গৃহহারা হচ্ছেন অনেকেই। ঘণ্টায় এরকম অসংখ্য বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে। যে-কোনও সময় প্রাণ হারানোর ঝুঁকি। তাই চরম উৎকণ্ঠায় সময় কাটছে আমাদের। ''