ইতিহাস গবেষকেরা মনে করেন, এই মূর্তি আসলে স্টাকো মূর্তি। মনে করা হয়, এই মহাবিহারের চারিদিকের দেওয়ালে খোদিত ছিল বিভিন্ন আকৃতির বৌদ্ধ দেবদেবীর এই মূর্তি। একাধিক ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও এখনও বেশ কিছু অক্ষত রয়েছে। তবে প্রাকৃতিক কারণে তাও ধ্বংসের পথে। মনে করা হয়, মহাবিহারের বাইরের দেওয়ালে অলংকরণের জন্য এই ধরনের বৌদ্ধ দেবদেবীর স্টাকো মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছিল তৎকালীন সময়ে। যা এখনও মোগলমারি বৌদ্ধ বিহারের একটি দেওয়ালে অক্ষত রয়েছে। তাকে সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
advertisement
মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় মোগলমারি বৌদ্ধ বিহার। যা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা ভারত এবং ভারতের বাইরে সারা পৃথিবীর কাছে এক অন্যতম প্রত্নক্ষেত্র। এর প্রতিটি ইটে লেগে রয়েছে নানার ইতিহাসের কথা। তবে দেওয়ালের এই একাধিক মূর্তি বর্ণনা দেয় পঞ্চম ষষ্ঠ শতাব্দীর সময়ে শিল্প ভাবনাকে, তৎকালীন দিনের ইতিহাসকে। ইতিহাস গবেষকদের মতে, মোগলমারি বৌদ্ধবিহারে যে মহাবিহার এবং বিহারিকা পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে শুধুমাত্র মহাবিহারে রয়েছে এই ধরনের মূর্তি। মূলত দেওয়াল অলংকরণে এই ধরনের মূর্তি নির্মিত হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে শুধু মোগলমারী বৌদ্ধ বিহারের ইতিহাস নয়, প্রতিটি ইটে যেমন লেগে রয়েছে ইতিহাসের নানা কথা, তেমনই এই ধরনের মূর্তি প্রকাশ করে পঞ্চম ষষ্ঠ সময়ের শিল্পভাবনাকেও। যা এককালের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।