উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পর এবার ভুতুড়ে ভোটারের হদিশ মিলল দত্তপুকুরের বামনগাছি এলাকায়। জানা গিয়েছে, ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতর ২৬ নম্বর পার্টের, বামনগাছি মন্ডলগাঁথি এলাকার বাসিন্দা বাসুদেব রায়। তার কাছে বামনগাছি পোস্ট অফিস থেকে ফোন আসে, তার মেয়ের ভোটার কার্ড এসেছে পোস্ট অফিসে। খবর পেয়ে পোস্ট অফিসে পৌঁছাতে বাসুদেব রায় কে জানানো হয় তার মেয়ে জ্যোতি রায়ের ভোটার কার্ডটি সংগ্রহ করবার জন্য।
advertisement
বাসুদেব রায়ের দাবি, তিনি তার স্ত্রী এবং তার দুই মেয়ে যূথী ও মুক্তা। দুই মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এছাড়া তার কোন সন্তান নেই, তবে এই মেয়ে আসলো কিভাবে!
ভোটার আইডি তে এ কী কাণ্ড
যা তার স্ত্রীরও অজানা। এরপরই তড়িঘড়ি সাইবার কাফেতে গিয়ে নতুন ভোটার লিস্ট তুলে তিনি দেখেন জ্যোতি রায় নামক একটি নাম তারই এপিক নম্বরের সঙ্গে মিল রেখে এসেছে এবং তার পিতার নামের জায়গায়ও বাসুদেব রায়ের নাম রয়েছে।
কে এই জ্যোতি রায়! এরপরই এলাকায় খোঁজখবর করেন তিনি। কিন্তু ওই তল্লাটে অন্য কোন বাসুদেব রায় নেই, আর জ্যোতি রায়েরও কোন খোঁজ মেলেনি বলে দাবি তার। এখন তাই এই নতুন ভোটার তালিকা নিয়ে তিনি ভুতুড়ে ভোটারের বিরুদ্ধে জেলাশাসক সহ প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন উদ্ধার পেতে। স্থানীয় বিডিও দপ্তরেও বিষয়টি জানিয়েছেন, তবে প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ না গ্রহণ করলে পরবর্তীতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তার নিজের সন্তানদের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলেই আশঙ্কা।
গোটা ঘটনাটি জানতে পেরে ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমল দাস জানান, তারা এ বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় সার্ভে করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তারপরই নেওয়া হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা। তবে ভুতুড়ে ভোটারে নাম আসা এই তৃতীয় সন্তান নিয়েই এখন রায় দম্পতির চলছে বেজায় মানসিক চাপ।
Rudra Narayan Roy