TRENDING:

অসময়ে মেলা শান্তিকেতনে, দোকানের ছড়াছড়ি! ১০০ বছর ধরে চলছে, আপনি গিয়েছেন কখনও?

Last Updated:

Viswa Bharati Ananda Mela : বিশ্বভারতীতে শুরু হল পড়ুয়াদের নিজস্ব আনন্দমেলা। মহালয়ার পুণ্য তিথিতে গৌরপ্রাঙ্গণে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটি পড়ুয়াদের নিজস্ব মেলা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম, সৌভিক রায় : কবিগুরুর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে শুরু হল পড়ুয়াদের নিজস্ব আনন্দমেলা। কেউ বলেন আনন্দবাজার, কেউ বলেন আনন্দমেলা। প্রত্যেকবছর মহালয়ার দিন থেকে সৃষ্টি আর কর্মের মেলবন্ধনে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী গৌরপ্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় এই আনন্দমেলা। রবিবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এই মেলায় অভিনব পসরা নিয়ে ব্যস্ত বিভিন্ন ভবনের পড়ুয়ারা। নানাবিধ শিল্পকর্ম, হরেক রকমারি খাদ্যসম্ভার, তাৎক্ষণিক কবিতা লেখা কিংবা ছবি আঁকা, গৃহসজ্জার ছোট ছোট সামগ্রী, ছোটদের খেলনা, পুতুল সহ ঢাক-কাঁসর এর নিরন্তর আওয়াজ।
advertisement

খাবারের দোকানে ছিল চা-কফি, ঘুগনি, চপ-পেঁয়াজি, মুড়ি বিভিন্ন মিষ্টি-পিঠে সহ আরও অনেক কিছু। উপাচার্য সহ অন্যান্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে প্রথা মেনেই আনন্দমেলার ফিতে কেটে উদ্বোধন করা হয়। এ যেন এক অন্য স্বাদের অন্য পাঁচটা মেলার থেকে আলাদা মেলা শান্তিনিকেতনে। প্রসঙ্গত আনন্দমেলা আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর এর বেশি সময় আগে। সময়টা তখন ১৯১৫ সালে ১৫ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষের দিন। পরে পৌষমেলা শুরুর আগের দিনও মেলার দিন ধার্য হয়।

advertisement

আরও পড়ুন : প্রতিপদেই শুরু হয়ে গেল পুজো, রূপোর ঘটে এল জল! এক্কাগাড়ি, বাজনা মিলিয়ে জমজমাট ব্যাপার

বর্তমানে পুজোর ছুটির প্রাক্কালে শারদোৎসবের নাটক- পালা শেষ হলে, পরের দিন মহালয়ার পুণ্য তিথিতে গৌরপ্রাঙ্গণে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটি একেবারেই বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের নিজস্ব মেলা। বাইরের কেউ দোকান দেওয়ার অনুমতি পান না। কারণ লভ্যাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের কাম্য নয়, তারা সবটাই জমা করেন বিশ্বভারতীর দরিদ্র-ভাণ্ডার সেবা শাখার তহবিলে। সেই টাকা দিয়ে পরবর্তীকালে সাহায্য করা হয় দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের। বর্তমানে এই মেলা আন্তর্জাতিক স্তরেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
তমলুকে চলছে আজও এই প্রথা, কী জানেন
আরও দেখুন

ছাত্র ছাত্রীরা জানান শিশু-কিশোরদের কল্পনার বিকাশ ও উদ্ভাবনী শক্তির প্রকাশে এই মেলা ভবিষ্যৎ জীবনে সচেতন হতে শেখায়। এ ছাড়াও রুচিবোধ, চরিত্র গঠন এবং ছোট- বড় সবার সঙ্গে অকপটে মিশতে শেখা, সকলকে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের ভাবাদর্শের মতই এক মিলন মন্ত্রে দীক্ষিত হওয়ার সুযোগ করে দেয় এই একটি মেলা। বর্তমানে এই মেলায় ঘুরতে আসেন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের পর্যটকেরাও।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
অসময়ে মেলা শান্তিকেতনে, দোকানের ছড়াছড়ি! ১০০ বছর ধরে চলছে, আপনি গিয়েছেন কখনও?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল