প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের সোমবার থেকে বিশ্বভারতীতে যে ছাত্র আন্দোলন চলছে সেই ছাত্র আন্দোলনের তিন দফা দাবির মধ্যে একটি দাবি, অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে পড়ুয়াদের দাবি, ৯০ শতাংশ পঠন-পাঠন অনলাইনে হওয়ার পর কীভাবে অফলাইনে পরীক্ষা নিতে পারে কর্তৃপক্ষ? তাই এ বছর অন্ততপক্ষে পড়ুয়াদের অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হোক। পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন পিছোতে হবে। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পড়ুয়াদের এই দাবিকে আমল নারাজ। বরং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১১ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। সব পরীক্ষা নেওয়া হবে অফলাইনে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঢুকেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা! বসন্তের আমেজে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যে? যা জানাল হাওয়া অফিস...
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের পর এই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ারা। পরীক্ষা বয়কটের পরিকল্পনাও করেছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা স্বাক্ষরগ্রহণ শুরু করেছে। পড়ুয়াদের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে না নিলে বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা কেউ পরীক্ষায় বসবে না। প্রত্যেকেই পরীক্ষা বয়কট করবে। পড়ুয়াদের স্পষ্ট বার্তা, যে তিনটি দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই তিনটি দাবি মেনে না নেওয়া হলে পরীক্ষা বয়কট করা হবে। বিশ্বভারতীর বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, 'বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের দাবি মানা তো দূরের কথা আদালতের নির্দেশ অমান্য করছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের উপর দাদাগিরি দেখাচ্ছে। তবে পড়ুয়ারা পাল্টা গান্ধিগিরি দেখাবে।'
ইন্দ্রজিৎ রুজ