সড়ক পথে বর্ধমান শহর হয়ে জাতীয় সড়ক টু বি ধরে গুসকরা পেরিয়ে বোলপুর শান্তিনিকেতনে যান কলকাতা হাওড়া হুগলি পূর্ব বর্ধমানের একটা বড় অংশের বাসিন্দারা। অনেকেই দোল ফাগুনে শান্তিনিকেতন যাওয়া রেওয়াজে পরিনত করে ফেলেছিলেন। বসন্ত উৎসবের আগের দিন সন্ধ্যা নামার আগে সপরিবারে গাড়ি নিয়ে বোলপুর পৌঁছতেন অনেকেই। যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে দাঁড়িয়ে জলযোগ বা রসে ভরা ল্যাংচায় কামড় দেন নি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার।
advertisement
শক্তিগড়ের ল্যাংচা ব্যবসায়ীরা বলছেন, শান্তিনিকেতন যাওয়ার সময় এখানে ব্যাপক ভিড় লেগে যায়। ফেরার সময় বাড়ির জন্য ল্যাংচা কিনে নিয়ে যান অনেকেই। দোলের আগের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত তিনদিন ভালো বিক্রি বাটা হয়। এবার তা হবে না। একই রকম বক্তব্য বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানা ব্যবসায়ীদের। ওই তিনদিন বিক্রি অনেক বেড়ে যাওয়ায় বেশি পরিমাণ মিষ্টি তৈরির পরিকল্পনা সেড়ে রেখেছিলেন তাঁরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শান্তিনিকেতনে যাতায়াতকারীরা প্রচুর পরিমাণে সীতাভোগ মিহিদানা কেনেন। এবারও তেমনটা হবে ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। শান্তিনিকেতনে এবার দোল হবে না। তাই আমাদেরও উৎপাদন কমিয়ে দিতে হচ্ছে। মুখে হাসি নেই গুসকরার মন্ডা ব্যবসায়ীদেরও। দোলের সময় বেশ কয়েক লক্ষ টাকার মন্ডা বিক্রি হয় গুসকরা, বড়া চৌমাথায়। শান্তিনিকেতনে এবার কেউ যাবে না। তাই খদ্দেরের ভিড় দেখা যাবে না মন্ডার দোকানে।
মন খারাপ বর্ধমানের বাসিন্দাদের। এই শহরের তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের বাসিন্দারাই শান্তিনিকেতনে গিয়ে বসন্ত উৎসবের আনন্দ নেন। এবারও সেই পরিকল্পনা ছকে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু করোনা সতর্কতায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবার উৎসব বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হতাশ তাঁরা।
Saradindu Ghosh
