বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্যকে দেওয়া প্রাক্তন উপাচার্যের চিঠি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমার ন্যায্য পাওনা পাওয়ার জন্য আপনাকে বহুবার আমি আবেদন করেছি। তবে কোনও উত্তর দেননি। কেনই বা দেবেন। আপনি বিশ্বভারতীর প্রশাসনের বর্তমানে সর্বোচ্চ আসনে আসীন।’ আক্ষেপের সঙ্গে তিনি আরও লিখেছেন, ‘দুই বছর ধরে আবেদন নিবেদন করলাম। কোনও ফল হলও না।”
advertisement
আরও পড়ুন: রেশন সামগ্রীর আড়ালে লরিতে ২ লক্ষ টাকার…! ত্রিপল সরাতেই সব ফাঁস, তারপর যা ঘটল আলিপুরদুয়ারে
এরপর তিনি আরও লিখেছেন, “অতএব আমি ঠিক করেছি আমার পাওনা টাকা দেওয়া থেকে বিশ্বভারতীকে রেহাই দিলাম। অনেক টাকা বিশ্বভারতীকে দান করেছি। সেটা অবশ্য গুরুদেবের আশ্রম থেকে যা পেয়েছি সে তুলনায় নগণ্য।” যদিও এই বিষয়ে বোলপুর শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ আধিকারিকদের দাবি, শুধু প্রাক্তন উপাচার্য নন, এছাড়াও আনুমানিক প্রায় ১৭ জন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও কর্মীরাও বিভিন্ন বকেয়া অর্থ এখনও পাননি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ছিলেন একদম বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। একাধিক বিতর্কিত ঘটনার তিনি ছিলেন অভিযোগের নিশানায়। তাঁর সময়কালে বারবার উত্তাল হয়েছে বিশ্বভারতী। কখনও ছাত্র আন্দোলন, কখনও শিক্ষক আন্দোলনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে সরগরম। উল্টোদিকে প্রাক্তন উপাচার্যের গাজোয়ারি একাধিক সিদ্ধান্তে খেসারত দিতে হয়েছে অধ্যাপক, কর্মী ও পড়ুয়াদের। যদিও বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যের অবসরের পর কী কী বকেয়া রয়েছে স্পষ্ট হয়নি। জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষও এই বিষয়ে কোনও ধরনের মুখ খুলতে চাননি।