আরও পড়ুন- সই করে তার নীচে ‘দাগ’ দেন? জানেন, এই অভ্যাসের ‘গূঢ় অর্থ’ কী? বিশেষজ্ঞদের মতামত চমকে দেবে!
আরও পড়ুন- বলুন তো…কোন ফলে সবচেয়ে বেশি ‘প্রোটিন’ থাকে…? উত্তর আপনাকে চমকে দেবেই…! ‘গ্যারান্টি’
মেদিনীপুরের আনাচে কানাচে রয়েছে, স্বাধীনতা আন্দোলনের নানা গল্প। জেলা সদর থেকে অনতি দূরে রয়েছে তরুণ বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরামের জন্মভিটা। যেখানে জন্মেছিলেন ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবের তরুণ এই বিপ্লবী। এবার বিভিন্ন লং ড্রাইভ বাদ দিয়ে ঘুরে দেখুন ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থান। কিছুক্ষণ সময় কাটান, গোটা গ্রাম ঘুরে জানুন তরুণ তরতাজা এই বিপ্লবীর সম্পর্কে। বাড়ির ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ধারণা দিন ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী সম্পর্কে।
advertisement
ক্ষুদিরাম বসুর জন্মভিটা সংরক্ষণ করেছে প্রশাসন। তৈরি হয়েছে সবুজে ঘেরা পার্কও। যারা সপ্তাহ শেষে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারবেন এই জায়গা। এখানে এলে নিজেকে ভারতীয় হিসেবে গর্বিত মনে হবে। জানতে পারবেন শহীদ ক্ষুদিরামের স্বল্প জীবনের নানা অজানা কথা। সকলের পছন্দের তালিকায় দিঘা কিংবা পুরী বাদ দিয়ে এবার ঘুরে দেখুন এই জায়গা একদিনে সুন্দর ঘুরে দেখে আবার ফিরতে পারবে নিজের কাজে।
আরও পড়ুন- বলুন তো, কোন প্রাণী ‘মুখ’ দিয়ে সন্তান প্রসব করে…? আশেপাশেই রয়েছে কিন্তু! চেনেন?
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ক্ষুদিরাম বসু সেই তরতাজা যুবক, তিনি হাসতে হাসতে মোম লাগানো ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়েছিলেন। ভারতকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচন করতে যিনি সামান্য বয়সেই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি জন্মেছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর সদর থেকে সামান্য কয়েক কিলোমিটার দূরে কেশপুর ব্লকের মোহবনি গ্রাম। এখানেই জন্মেছিলেন ক্ষুদিরাম বোস।
আরও পড়ুন- ৭ টাকার কয়েন…! সত্যিই না গুজব…? বড় আপডেট RBI-এর…! জেনে নিন ঠকার আগে
পৈত্রিক জন্মভিটাতে রয়েছে ক্ষুদিরামের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। রয়েছে গ্রন্থাগার থেকে সাজানো বাগান। এখন অবশিষ্ট নেই পৈত্রিক বাড়ি। পাশেই থাকেন শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর পৌত্র ও তার পরিবার।মেদিনীপুর সদর শহর থেকে কেশপুর। কেশপুর থেকে সামান্য কিছুটা এগোলেই পড়বে মোহবনি গ্রাম। এই গ্রামে জন্মেছিলেন শহীদ ক্ষুদিরাম বোস। কিন্তু জন্মের পর সামান্য কয়েকটা দিন এখানে থাকলেও, তিনি বড় হয়েছেন তার দিদি অপরূপা দেবীর কাছে। তবে এখানে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গ্রন্থাগার, মুক্তমঞ্চ পাশেই বেশ কিছুটা জায়গায় পুকুরের পাড় বরাবর লাগানো হয়েছে একাধিক গাছ, বসার জায়গা।
কীভাবে পৌঁছবেন এই জায়গা?কলকাতা থেকে বাসে না ট্রেনে এলে নামতে হবে মেদিনীপুর স্টেশনে। বাসে চেপে মেদিনীপুর সদর থেকে ভায়া কেশপুর হয়ে ঘাটাল যাওয়ার রাস্তায় পড়বে নেড়াদেউল বাস স্ট্যান্ড। সেখানে নেমে টোটো ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই জায়গা। দূরত্ব চার কিলোমিটার। গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/3iyMrP9WpaCSyJuf8 । তাই যারা সপ্তাহ শেষে ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখুন বিপ্লবের এই পীঠস্থান। ঘুরে দেখুন শহীদ ক্ষুদিরাম বোসের জন্মস্থান। নিমিষেই মন ভালো হয়ে যাবে আপনার।
রঞ্জন চন্দ