বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে নদিয়ার রানাঘাট-সহ বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি পশ্চিমবাংলার বেশ কয়েকটি জেলাতে রয়েছে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রবণতা। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েক বছর ধরে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অনাগ্রহে এবং মোবাইলমুখী হওয়ার ফলে এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তবে ইদানিং আবার একটু একটু করে তা হয়তো ফিরে আসছে, এমনই জানা গেল রানাঘাটের এক বিখ্যাত ঘুড়ি বিক্রেতার পরিবার থেকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কলকাতা মেটিয়াবুরুজ থেকে এখন ঘুড়ি, লাটাই, সুতো কিনে নিয়ে আসা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোয় বাংলা মাতাবে ‘টেক্কা’! ট্রেলার মুক্তিতেই দুর্গাপুজো নিয়ে মুখ খুললেন দেব, কী বললেন নায়ক
তবে একসময় নদিয়ার বিভিন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের পক্ষ থেকে বানানো হত ঘুড়ি। অনেক বছর বাদে এ বছর আবারও ব্যাপক চাহিদা হয়েছে আর তাতেই একদিকে যেমন খুশি ঘুড়ি বিক্রেতারা অন্যদিকে সাধারণ মানুষও। কারণ এ প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা মোবাইল থেকে মুখ ঘুরিয়ে যদি আবার আকাশমুখী হয় তাহলে তাঁরা খুশি। পাসকাটি, বল ঘুড়ি ,মুখ পুরি, জেব্রা এ ধরনের নানা নামে বিভিন্ন সাইজের কাগজের রংবেরঙের নিত্যনতুন ডিজাইনের ঘুরি এখনও আকাশ দখল করে এই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন।
প্লাস্টিকের ঘুড়ি উড়লেও মূলত চাহিদা কাগজের। তবে আগে বাক্স কিংবা ডাক ঘুড়ির ব্যাপক চাহিদা ছিল। তবে মন্দের ভাল এই যে করোনা মহামারীর পর থেকে আবারও নতুন করে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে মানুষের মধ্যে। যার কারণে বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই ঘুড়ির দোকানগুলিতে ভিড় লক্ষ্য করা যায় তরুণ প্রজন্মের।
Mainak Debnath