বিকেল হলেই নতুন পুকুর এলাকার বাসিন্দা অনিতা নিজের ঠেলাগাড়ি নিয়ে হাজির হয়ে যান, ডাক বাংলো মোড় সংলগ্ন তার নিজের নির্দিষ্ট জায়গায়। নিজের হাতেই আলু মেখে তেঁতুল জল গুলে ভোজন রসিকদের পাতায় তুলে দেন একের পর এক মুখরোচক ফুচকা। শুধু ফুচকাই নয়, পাশে থাকা পকোড়াও তিনি নিজেই ভাজেন। কখনও ক্রেতাদের চাপ থাকলে, মেয়ে অনশুও মাকে সাহায্য করতে হাত লাগায় পকোড়া ভাজার কাজে। তবে ফাঁকা টাইমে অবশ্য দুই ভাই বোন ঘুরে বেড়ায় দোকানের এদিক সেদিক। মা অনিতা দাঁড়িয়ে থাকেন ক্রেতাদের অপেক্ষায়।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এমন ভাবেই জীবন যুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আজ নিজে গোটা সংসারের ভার কাঁধে তুলে এগিয়ে চলেছেন বারাসতের এই মহিলা ফুচকাওয়ালা। সকালে উঠে নিজে হাতেই লেচি বেলে তৈরি করেন ফুচকা। এরপর সংসারের কাজ সামলে বিকেল হতেই সন্তানদের নিয়ে হাজির হয়ে যান দোকান সামলাতে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই পড়াশোনা করে নেয় ছোট খুদেরা। কারণ বিকেল হলেই মায়ের সঙ্গে দোকানে যেতে হয় তাদেরও।
আরও পড়ুন: ২৫ ডিসেম্বরের আগেই দিঘায় একী ঘটছে? আগে কখনও হয়নি! জানলে চমকে যাবেন
সন্তানদের নিয়ে মায়ের এমন লড়াই চোখ এড়াইনি ফুচকা বা পকোড়া খেতে আসা মানুষজনদের। অনেকেই তাই আজ এমন লড়াকু মা কে জানান কুর্নিশ। প্রতিদিন প্রায় হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়। যা সামান্য লাভ থাকে তাতে সংসার চলে যায়। তবে এই কাজ করতে পেরে খুশি অনিতা, নিজের মুখেই জানালেন সেকথা। ফুচকা খেতে আসা ভোজন রসিকরাও তাই নিয়মিত খোঁজ রাখেন মা সহ সন্তানদেরও।
Rudra Narayan Roy