আকর্ষণীয় কিছু পাওয়ার মজাই আলাদা। তাই বর্তমানে ফেরিওয়ালারা সেই পন্থাই অবলম্বন করেছেন। এইরকমই এক ফেরিওয়ালা ভুবন বাদ্যকরের জগৎ বিখ্যাত হওয়ার কথা আপনারা সকলেই জানেন তবে সেক্ষেত্রে ভুবন বাবু বাতিল জিনিসপত্র বদলে দিতেন কাঁচা বাদাম। কিন্তু নদিয়ার শান্তিপুর এলাকায় মেদিনীপুর থেকে আগত শেখ সাবীর মুন্না দিচ্ছেন লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রংবেরঙের জ্যান্ত মুরগির বাচ্চা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শূন্য হাতে ব্যবসা শুরু করে সাফল্যের শিখরে! সামান্য বিনিয়োগে আপনিও শুরু এই ব্যবসা! মালামাল হবেন
পায়ের তোড়া, হাতের চুরি, সিটি গোল্ডের চেন, বাতিল মোবাইল কিংবা মহিলাদের মাথার চুল এইসবই বিনিময় করা যাচ্ছে তাঁর কাছে। রংবেরঙের মুরগির ছানা দেখতে ভিড় করছেন পাড়ার খুদেরা। তাদের বায়নায় অভিভাবকরা বাড়ির বিভিন্ন পরিত্যক্ত পরিষ্কার করার মাধ্যমে শিশুদের খুশি করছে, লাভবান হচ্ছে শেখ সাবীরও। বিগত প্রায় ছ’বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন আর তার সুবাদে বর্তমানে বসবাস করছে সেখান থেকেই।
সকাল হলে বেরিয়ে পরে শান্তিপুরের বিভিন্ন গ্রামে। ভুবন বাদ্যকরের ভাইরাল হওয়া হাঁক দেওয়া সুরেলা বাচনভঙ্গি তিনি কিছুটা রপ্ত করে, ব্যবসায় ক্রেতাদের আকর্ষণ করছেন। তবে শেখ সাবীর এর কথা অনুযায়ী বিশেষ এই প্রজাতির মুরগির বাচ্চা রোগ প্রতিরোধ-সহ বিভিন্ন পরিবেশ অনায়াসেই মানিয়ে নিতে পারে তাই বড় করা খুব সহজ। মাত্র ছ-মাসের মধ্যেই ডিম কিংবা মাংস পাবেন তারা। ফলে স্বনির্ভরতার প্রতি আগ্রহ বাড়বে বাড়ির মহিলাদেরও।
Mainak Debnath