চায়ের দোকান বলতে খুব সাধারন যা চোখে পড়ে পুরুষ বিক্রেতাই বেশি। তবে মহিলা চা বিক্রেতা চোখে পড়লেও তাদের থেকে অনেকটাই আলাদা ছবি এখানে। ছোট্ট দোকানকে নিয়েই অনেক স্বপ্ন পাপিয়ার। আশুতোষ কলেজ থেকে স্নাতক পাপিয়া একটি স্কুলে কাজে যোগ দেয়। এরপর মডেল, তারপর এয়ার হোস্টেজ হতে পড়াশোনা। তারপর একটি ইন্টারন্যাশনাল বিমান সংস্থায় চাকরির সুযোগ। তবে দুর্ভাগ্যবশত ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর জেরে সেই স্বপ্ন অধরা। তারপর আর সে পথে এগোনও হয়নি। সে বছরই বাবার মৃত্যু মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ে।
advertisement
তারপর সংসারের হাল ধরতে নানা ভাবনা চিন্তার পর আর কোথাও কারও অধীনে কাজ করার ইচ্ছে হয়নি। তাই নিজে ব্যবসা শুরু করার চিন্তাভাবনা। অল্প পুঁজির ব্যবসা বলতে বেছে নিয়েছিল চা দোকান। আন্দুল বকুলতলা থেকে কিছুটা দূরে অঙ্কুরহাটি চেকপোস্ট সংলগ্ন জাতীয় সড়ক লাগোয়া সার্ভিস রোডের পার্শ্ববর্তীতে দোকান দেওয়ার সিদ্ধান্ত। অল্প দিনে দারুন জনপ্রিয়তা, প্রতিদিনই ক্রেতাদের ঢল নামতে শুরু করে। ছোট্ট দোকানের সামনে কম বয়সী ছেলেমেয়েদের ভিড়। অল্প দিনেই স্বপ্ন পূরণ করা ইচ্ছা আরও দৃঢ় হয়েছিল। কিন্তু সবকিছু তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল বৃহস্পতিবার সকালে।
ভাইরাল রাশিয়ান চা দিদি পাপিয়া ঘোষাল। নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন । যেখানে দেখা যায় অঝরে কাঁদছেন, কারণ তার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হতে বসেছে। স্বপ্নের দোকান বন্ধ হতে চলেছে। দোকানের ওপর লাগানো হয়েছে পোস্টার। পোস্টারে লেখা রয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ দোকান। এমনকি চিরদিনের জন্য বন্ধ এমন লেখা রয়েছে। যা দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছিলেন বর্তমান প্রজন্মের মহিলাদের স্বনির্ভর হতে নতুন পথ দেখাতে আসা হাওড়ার পাপিয়া ঘোষাল।
আরও পড়ুনঃ KKR News: ‘এটাই’ আইপিএল ২০২৫-এ কেকেআরের প্রথম একাদশ! বড় ধামাকা করবে নাইটরা!
এ প্রসঙ্গে চা বিক্রেতা পাপিয়া ঘোষাল জানান, স্থানীয় একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠানের অনুমতিতে তাদের চুক্তি মতই দোকান দেওয়ার সিদ্ধান্ত। জমানো অর্থ এবং নিজের পরিশ্রম দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে ছোট্ট দোকানকে সাজিয়ে তুলেছিলাম। হঠাৎ করে এমন ঘটনা কিছু ভাবার অবকাশ নেই। চোখের জলে নিজের লড়াইয়ের কথা ও আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন পাপিয়া ঘোষাল। কেন তাঁর দোকান বন্ধের নোটিশ ঝোলানে হল তা নিয়েও সন্দিহান তিনি। সকলকে পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
রাকেশ মাইতি