জানা যায়, সংসারে চরম অভাব ছিল। সংসারের হাল ধরতেই হোমগার্ডের চাকরিতে জয়েন করেন তিনি। তখন সবে মাত্র ক্লাস নাইন! সে সময় চাকরি করতে গিয়ে আটকে যায় পড়া। কিন্তু পড়ার ইচ্ছে থাকলে তা যে কোনও সময়েই যে করা যায়, তা প্রমাণ করলেন প্রবাসচন্দ্র মণ্ডল।
আরও পড়ুন: নজরে পঞ্চায়েত নির্বাচন! জেলাগুলিকে বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন
advertisement
জানা যায়, মাধ্যমিক পাশ করার জন্য গত বছর রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। বারুইপুর পুলিশ জেলা অফিসে চারটে সময় ছুটি নিয়ে সপ্তাহে তিনদিন রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে ক্লাস করতে যেতেন। গত বৃহস্পতিবার সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। প্রভাসবাবুর এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে জেলার পুলিশ সুপার শ্রীমতী পুষ্পা সংবর্ধনা দেন প্রভাস চন্দ্র মন্ডলকে। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, বরাবর তিনি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। মাধ্যমিকে তিনি বিজ্ঞানে ভালো নম্বর পেয়েছে বলে জানান। তাঁর ইচ্ছা পড়াশুনা তিনি চালিয়ে যাবেন আগামি দু-তিন দিনের মধ্যে তিনি রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন বলে জানান। এই ঘটনায় সকলেই প্রশংসা করেছেন এই ব্যক্তির। সত্যিই তাঁর মনের ইচ্ছে সব কিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।
অর্পণ মণ্ডল