তবে যে ছাতা রোদ-জল আটকায় না সেই ছাতা কী কিনতে চাইবেন কখনও! চাইবেন না নিশ্চয়। তবে এ ছাতা রোদ জল আটকাতে না পারলেও বিকোচ্ছে দেদার। আর দাম শুনলে রীতিমতো চমকে উঠবেন সকলে। আর এই ছাতা পাওয়া যাচ্ছে বীরভূমের কবিগুরুর শহর বোলপুর শান্তিনিকেতন সোনাঝুরির হাটে।
advertisement
সুরুল শ্রীনিকেতনের বাসিন্দা শিল্পী সুমিত রজক দীর্ঘ দুই বছর থেকে নিজের হাতে এই ছাতা বানিয়ে আসছেন। নিজের শিল্পীসত্তাকে বিভিন্ন ছাতার মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। বর্তমানে ছোট এবং বিভিন্ন ডিজাইনের ছাতার চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। বিশেষ করে বাড়ির বাচ্চাদের জন্য অনেকেই এই ছাতা খুঁজছেন। আর তাছাড়াও বাড়ির ছোট্ট গোপাল ঠাকুরের জন্য এই ছাতা অনেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এই কথা মাথায় রেখেই এই ছাতা বানানোর পরিকল্পনা তাঁর।
নেটের কাপড়ের সঙ্গে প্যারাসুট কাপড় চুমকি ও আরও বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে একদম ছোট থেকে মাঝারি এবং বড় ছাতা বানাচ্ছেন শিল্পী। সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বাজার একটু উপর নিচু থাকলেও, শনিবার এবং রবিবার সোনাঝুরি হাটের মেলার এই দুদিন চড়া দামে দেদার বিকোচ্ছে রকমারি ধরনের এই ছাতা। এক একটি ছোট ছাতা ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দামে বিক্রি করছে আবার অন্যদিকে মাঝারি ছাতা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! বিমান দুর্ঘটনায় সবাই মৃত, বেঁচে গিয়েছেন একমাত্র একজন! কে তিনি? কোন সিটে ছিলেন? দেখুন
কলকাতা থেকে আগত এক পর্যটক আমাদের জানান, মূলত বাচ্চাদের আবদারে তাদের এই ছাতা কিনতে হচ্ছে। এই ছাতার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও ছাতার ডিজাইন এবং কারুকার্য বেশ আকর্ষণীয় এবং চোখে পড়ার মতো। আর সেই কারণে বিকোচ্ছে দেদার।এর পাশাপাশি বিভিন্ন ফটোশুট করবার জন্য অনেকে এই ছাতা নিয়ে যাচ্ছেন। তাই এবার বোলপুর শান্তিনিকেতন গেলে অবশ্যই আপনি এই ছাতা বাড়িতে কিনে নিয়ে যেতে পারেন।
সৌভিক রায়