আরও পড়ুন: সোমবার থেকে নতুন খেলা শুরু আবহাওয়ার! কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে টানা তিনদিন তাণ্ডব জেলায় জেলায়
ঘটনাটি ঘটেছে হেতমপুর রাজবাড়ির দক্ষিণ প্রান্তে, যেখানে রাজ পরিবারের প্রাচীন গোশালা ও কুয়ো অবস্থিত। কিছুদিন ধরেই রাজবাড়ির বিভিন্ন জায়গায় সাপের খোলস পাওয়া যাচ্ছিল। তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধছিল। সম্প্রতি রাজবাড়ির উত্তরাধিকারিণী বৈশাখী চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে কুয়ো চত্ত্বর পরিষ্কার করার কাজ চলছিল। সেখানেই শ্রমিকদের চোখে পড়ে বিশাল এক অজগর।
advertisement
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পরিবেশপ্রেমী ও সাপ উদ্ধারকারী অমিত শর্মা। বন দফতরের সহযোগিতায় কোমরে দড়ি বেঁধে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি নামেন কুয়োর অন্ধকারে। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর উদ্ধার হয় বিরল প্রজাতির ইন্ডিয়ান রক পাইথন। অমিত জানান, “সাপটি নিরীহ, বিষহীন। সম্ভবত বর্ষার জলে ভেসে এসেছে কিংবা আশেপাশের জঙ্গল থেকে পথ হারিয়ে কুয়োয় ঢুকে পড়ে।” বনদফতরের তত্ত্বাবধানে সাপটিকে পরে নিকটবর্তী জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
হেতমপুর রাজবাড়ীর রাজকন্যা বৈশাখী চক্রবর্তী বলেন, “আমরা কখনও কল্পনাও করিনি যে আমাদের বাড়ির এতটা গভীরে এমন এক অজগর লুকিয়ে থাকতে পারে! ঘরের সিঁড়িতেও গত কয়েকদিন ধরে ছোট সাপ দেখা গেছে।” এত বড় সাপ কীভাবে প্রবেশ করল, তা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন।
সুদীপ্ত গড়াই