তবে, যে কোনও কারণেই হোক চলতি বছরে এই ভাইরাস (Viral Fever) অতিমাত্রায় সক্রিয় (Bangla News)। যদিও, প্রোটোকল মেনে চিকিৎসা করার পর প্রায় একশো শতাংশ শিশুই সুস্থ হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন তারাপদ ঘোষ। আরএস ভাইরাস ছাড়াও ইনফ্লুয়েঞ্জা ও প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের (Viral Fever) দাপটও এ বারে তুলনায় বেশি। তবে, করোনা আক্রান্ত (Coronavirus) শিশুর সংখ্যা হাতে গোনা। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, বেশকিছু সঙ্কটজনক শিশুর ক্ষেত্রে এমআইএসসি (Multisystem Inflammatory Syndrome in Children (MIS-C)-র উপস্থিতি লক্ষ করা গিয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে, আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর অ্যান্টিবডি টেস্ট-সহ অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে শিশুটি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। যদিও, সেই সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কম।
advertisement
আরও পড়ুন: কালীপুজোর আগে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, আক্রান্তের সংখ্যা ধরাচ্ছে ভয়...
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Medinipur Medical College Hospital) অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু জানিয়েছেন, 'আরএস ভাইরাস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের (Viral Fever) দাপট এ বারে বেশি। বেশিরভাগ শিশু এই দু'টি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হচ্ছে।' মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র ঘোষ কিংবা ডাঃ দিব্যজ্যোতি দে সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি, স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়া-সহ প্রাকৃতিক কারণেই হোক কিংবা অতিমারীর প্রভাব, এ বার শিশুদের মধ্যে জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের হার মাত্রাতিরিক্ত বেশি।